সোমবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

পুলিশের ধাওয়ায় নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজীরহাট থানার জয়নগর ইউনিয়নে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে লতা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ তুহিন খানের (৩৫) লাশ উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর গতকাল দুপুরে তার ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত তুহিন হিজলার হরিনাথপুরের মহিষখোলার ৭নং ওয়ার্ডের সফিকুল ইসলাম খানের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করার কথা জানানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত না করেই পুলিশ তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার দুপুরে জয়নগরের আয়নাল কাজীর ঘরে জুয়া খেলার খবরে সাদা পোশাকে সেখানে অভিযান চালায় এসআই মো. মিজান, এসআই মো. শহিদ, এএসআই মো. সাগর ও এএসআই মো. রশিদসহ ৮ জনের একটি দল।

 অভিযান টের পেয়ে চারজন বেরিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়। পরবর্তীতে টিপু হাওলাদার, আলতাফ সরদার ও সুলতান হাওলাদার নামে তিনজন সাঁতরে তীরে উঠলে পুলিশ তাদের আটক করে। এ সময় তুহিন নিখোঁজ হয়।

ঘটনার সময় লতা নদীতে মাছ শিকাররত প্রত্যক্ষদর্শী খালেক খান জানান, পুলিশের ধাওয়া খেয়ে চারজন নদীতে ঝাঁপ দিলেও তিনজন তীরে উঠতে সক্ষম হয়। এ সময় খালেক নৌকা নিয়ে তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে গেলেও তার আগেই নদীতে ডুবে যায় ওই ব্যক্তি। গতকাল দুপুরে লতা নদীতে একটি লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে তুহিনের পরিবার তার লাশ শনাক্ত করে। অভিযোগ উঠেছে, তুহিনের মৃত্যুর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে পুলিশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। নিহতের পিতা সফিকুল ইসলাম খান জানান, এ ঘটনায় এসআই ও এএসআইসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করবেন। কাজীরহাট থানা সূত্র জানায়, ওই ৮ পুলিশ সদস্য ওসির অনুমতি ছাড়াই সেখানে অভিযান চালাতে যান। তাদের উদ্দেশ্য ছিল জুয়াড়িদের আটক করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া। কাজীরহাট থানার ওসি হারুন-অর রশিদ জানান, ওই ঘরে মাদক কেনাবেচার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালালে তুহিন আটক এড়াতে নদীতে ঝাঁপ দেয়। ওসি জানান, নিহতের পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় তার লাশের ময়নাতদন্ত হয়নি।

সর্বশেষ খবর