মঙ্গলবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিএনপির জনসভা

সব খেয়ে এখন আঞ্জুমান মুফিদুলে ‘নেক নজর’ পড়েছে তাদের : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী বৃহস্পতিবার ঢাকায় জনসভা করবে বিএনপি। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ জনসভা করতে চায় দলটি। দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ গতকাল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় এই জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আবদুস সালাম আজাদ, মুনির হোসেন, আসাদুল করিম শাহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সরকারের সমালোচনা করে রিজভী আহমেদ বলেন, আওয়ামী রাজনীতি কখনোই দলীয় সংকীর্ণতার বলয় থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। সে জন্য ক্ষমতাসীনরা ব্যাংক-বিমা, শেয়ারবাজার, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত সবই আত্মসাৎ করেছে। সব কিছু খেয়ে এখন বেওয়ারিশ লাশ দাফনের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের ওপর তাদের ‘নেক নজর’ পড়েছে। আসলে আওয়ামী লীগের সুশাসনের বোধ কখনোই ছিল না। নানা ফন্দিফিকির করে ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাস বিতরণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে দলটি। তাদের চাঁদাবাজি, দখল, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাস, লুটপাট, নির্যাতন-অত্যাচারের কাহিনী প্রতিদিন সংবাদপত্রের পাতায় জায়গা দখল করে থাকে। গত সপ্তাহে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার প্রকাশিত বই সম্পর্কে রিজভী আহমেদ বলেন, ‘সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার প্রতি সরকারের আচরণের ঘটনাগুলো প্রকাশিত হওয়ায় দেশবাসীসহ বিশ্ববাসী বিমূঢ় বিস্ময়ে হতবাক হয়েছে। দেশের প্রধান বিচারপতিকে যেভাবে সরকারপ্রধান থেকে শুরু করে মন্ত্রী-এমপিরা হুমকি, গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেছেন, তাতে আওয়ামী রাজনীতির বিকৃত সংস্কৃতি আবারও জনগণের কাছে সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।

আগামী ১০ অক্টোবর নির্ধারিত ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনাকে ‘আওয়ামী রাজনীতির কুটিল পাটিগণিত’ বলে মন্তব্য করেন রিজভী। তিনি বলেন, ২১ আগস্ট বোমা হামলার পুরো বিষয়টাই একটি প্রহেলিকা। জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করার দেশীয় ও বৈদেশিক চক্রান্তের বিপজ্জনক ব্লুপ্রিন্ট ছিল এটি। বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার নানা ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় ২১ আগস্ট বোমা হামলা মামলায় সরকার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে আইন-আদালতকে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশ এখন আওয়ামী কুরাজনীতির ঘোঁট পাকানো অবস্থার মধ্যে নিপতিত হয়েছে। এখন সরকারের ইচ্ছা-অনিচ্ছা অনুযায়ী আইনি প্রক্রিয়া ও বিচারিক কার্যক্রম চলে। ২১ আগস্টের বোমা হামলা মামলা এর একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। বিএনপির নির্দোষ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য কর্মকর্তাদের কাল্পনিক গল্প তৈরি করে ফাঁসানোই হচ্ছে এর মূল উদ্দেশ্য। ২১ আগস্ট বোমা হামলা মামলায় তারেক রহমানের নাম জড়ানোকে সম্পূর্ণরূপে চক্রান্তমূলক এবং সরকারপ্রধানের ক্রোধ ও ঈর্ষার ঝাল মেটানোরই বর্ধিত প্রকাশ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমের গলায় দড়ি ঝোলাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে ওবায়দুল কাদের সাহেবদের তৃপ্তি মিটছে না। তাই এখন গোটা গণমাধ্যমকেই পকেটে ঢোকানোর চেষ্টায় কিছুটা বেগ পাওয়াতে আফসোস করে নানা কথাবার্তা বলছেন।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর