শনিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঘটেছে গণহত্যার ঘটনা। এই নিকৃষ্ট গণহত্যার ঘটনা বিশ্ব জেনেছে কিন্তু এর ভয়াবহতা এখনো অজানা রয়েছে। তাই গণহত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের খোঁজ যখনই পাওয়া যাবে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। ২৫ মার্চ জাতীয়ভাবে গণহত্যা দিবস পালিত হলেও বিশ্বের কাছে স্বীকৃতির দাবি জানান বক্তারা। গতকাল রাজধানীর বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ‘১৯৭১ : মুক্তিযুদ্ধ, গণহত্যা ও বিশ্ব’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা। গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের আয়োজনে দুদিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি ড. মুনতাসীর মামুনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক হাশেম খান এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ভারতের জাতীয় গবেষণা অধ্যাপক ড. জয়ন্ত কুমার রায়।

দুদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত সেমিনারের উদ্বোধনী পর্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস’র বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর বেশ কয়েকটি সায় দিয়েছিল গণহত্যার পক্ষে। তবে ভারত শুরু থেকেই গণহত্যা বন্ধ করতে বিশ্বে জনমত গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এসব আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে বিশ্ব জানতে পারবে বাঙালি জাতির নিধনে পাকিস্তানি সেনাদের সেই নিকৃষ্ট কার্যকলাপ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনা হলো এই গণহত্যা। নতুন প্রজন্মের কাছে বাঙালি জাতির প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে প্রয়োজন গবেষণা। অসংখ্য গণহত্যা সারা দেশে ঘটেছে। এই গণহত্যাকারী প্রত্যেককে বিচারের মুখোমুখি করতে বিশ্বজনমত জরুরি।

সভাপতির বক্তব্যে ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, ইতিহাস সজীব বিষয়। গবেষণায় তা আরও সমৃদ্ধ হয়। তাই নতুন প্রজন্মের কাছে গণহত্যার তথ্য উপাত্ত তুলে ধরতে আমরা সাতটি জেনোসাইড ইনডেক্স প্রকাশ করেছি। ১০টি জেলায় জরিপ চালিয়ে খোঁজে বের করা হয়েছে ২ হাজার ২০০ গণকবর, গণহত্যা, নির্যাতন কেন্দ্র ও বধ্যভূমি।

সর্বশেষ খবর