বৃহস্পতিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ভারতে আন্দোলরতদের প্রশ্ন

আমরা কি বাংলাদেশ বা পাকিস্তানে যাব?

কলকাতা প্রতিনিধি

আমাদের দেশের সরকারই যদি আমাদের সমস্যা না শোনে তবে কি বাংলাদেশ বা পাকিস্তানে যাব? এ প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনরত ভারতের কৃষকরা। মঙ্গলবার বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সরব হওয়া কৃষকদের বিক্ষোভ ও আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমান্ত। আন্দোলনরত কৃষকদের পুলিশের লাঠিপেটা করার পাশাপাশি তাদের থামাতে জলকামান ও কাঁদুনে গ্যাস ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ। ট্রাক্টর, গাড়ি বা হেঁটে দিল্লিতে প্রবেশের চেষ্টা করলেও দুই রাজ্যের সীমান্তেই ব্যারিকেড দিয়ে তাদের পথ আটকে দেওয়া হয়। এরপরই জলকামান ও লাঠি চালায় পুলিশ। এতে কয়েকজন কৃষক নেতা ও প্রতিনিধি আহত হন। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন সভাপতি নরেশ তিকাইত গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, ‘আমাদেরকে কেন উত্তরপ্রদেশ-দিল্লি সীমান্তে আটকে দেওয়া হলো। শৃঙ্খলাবদ্ধভাবেই আমাদের মিছিল এগিয়ে চলছিল।

 আমাদের সরকারের কাছে যদি আমাদের সমস্যা নিয়ে বলতে না দেওয়া হয় তবে আমরা কাদেরকে বলব? আমরা কি তবে পাকিস্তান বা বাংলাদেশে যাব?’

এদিকে বিরোধী দলগুলো কৃষকদের ওপর এ হামলার নিন্দা জানায়। টুইট করে যুবক কংগ্রেসের তরফে বলা হয়, ‘মহাত্মা গান্ধী কি এই ভারতেরই স্বপ্ন দেখেছিলেন? এই দেশের জন্যই কি গান্ধীজির মৃত্যু হয়েছিল?’

৬০ বছর বয়সের পর প্রত্যেক কৃষককে প্রতি মাসে ৫ হাজার রুপি পেনশন চালু করা, বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য কমানো, চাষের জন্য বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া, শস্যের একশ শতাংশ বিক্রয় নিশ্চিত করা, বকেয়া পেনশন ও আখ চাষিদের বকেয়া বেতন ফেরত দেওয়াসহ একাধিক দাবিতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর হরিদ্বারের তিকাইত ঘাট থেকে শুরু হয় এই কৃষক মিছিল। শেষ হওয়ার কথা ছিল দিল্লির রাজঘাটের কাছে ভারতের কৃষক নেতা চৌধুরী চরণ সিংয়ের স্মারকস্থল কিষান ঘাটে। উত্তরপ্রদেশের গোন্ডা, বসিত, গোরখপুর থেকে হাজার হাজার কৃষক অংশ নেয় ওই মিছিলে। 

সর্বশেষ খবর