বৃহস্পতিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা
দুদকের অভিযান

বরখাস্ত ডিএসসিসির সুপারভাইজার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আজিমপুর আঞ্চলিক অফিসে এক ঝটিকা অভিযানে দুর্নীতির ঘটনা উদঘাটন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম। প্রাথমিক অনুসন্ধানে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় দুদকের সুপারিশে ডিএসসিসি’র সুপারভাইজার (লাইসেন্স ও বিজ্ঞাপন) চন্দ্র শেখর রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন- ১০৬) প্রকাশ্যে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ প্রাপ্তির পরপরই দুদকের সহকারী পরিচালক সেলিনা আখতার মনি ও মো. জাকারিয়া এবং পুলিশের সমন্বিত সাত সদস্যের একটি টিম অভিযানে নামে। এই টিম আজিমপুর কর অঞ্চল-৩ কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে দেখতে পায়, অফিসটি দালাল নিয়ন্ত্রিত। দুদক টিমের উপস্থিতি টের পেয়ে দালালরা পালিয়ে যায়। কিন্তু এক দালালের রেখে যাওয়া একটি ব্যাগ দুদক টিম জব্দ করে। জব্দকৃত ব্যাগটি খুলে দেখা যায়, তাতে সিটি করপোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, ১৬টি ট্রেড লাইসেন্স বই ও ব্যাংক চালান ফর্ম রয়েছে। দুদকের অভিযানে আরও জানা যায়, রতন কুমার বাবু নামক একজন ব্যক্তির কাছ  থেকে সুপারভাইজার (লাইসেন্স ও বিজ্ঞাপন) চন্দ্র শেখর রায় ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ফি বাবদ বেআইনিভাবে ৭ হাজার টাকা নিয়েছেন। এ ঘটনা উদঘাটন করার পর দুদক মহাপরিচালক মুনীর চৌধুরী আজিমপুর আঞ্চলিক অফিসের এসএম আনসারুজ্জামানকে (উপসচিব) বিষয়টি অবহিত করেন এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর দুদক টিম দুর্নীতির প্রমাণ উপস্থাপন করলে সুপারভাইজার চন্দ্র শেখরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। দুদক এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের রাজস্ব বিভাগের দুর্নীতির কারণে শুধু মানুষের হয়রানিই হচ্ছে না, রাজস্ব আদায়ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দুদক এসব ঘটনা প্রতিরোধে অভিযান অব্যাহত রাখবে এবং প্রয়োজনে সিটি করপোরেশনের সহায়তায় দুর্নীতিবাজদের তালিকা করে অনুসন্ধান শুরু করবে।

সর্বশেষ খবর