রবিবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

পুরো দেশই এখন রিমান্ডে রয়েছে

--------------- আনু মুহাম্মদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ বলেছেন, আইনের মাধ্যমে সরকার জনগণকে মৃত সৈনিক বানিয়ে রাখতে চায়। ইতিমধ্যে বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে জেলে নেওয়া হয়েছে। কেউ কোনো প্রতিবাদ করছেন না। তাকে রিমান্ডে নিলেও আশ্চর্য হব না। কারণ পুরো দেশই এখন রিমান্ডে আছে। গতকাল রাজধানীর মণিসিংহ-ফরহাদ স্মৃতি ট্রাস্টের মনির-আজাদ সেমিনার কক্ষে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে ‘গণবিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন : সংবাদমাধ্যম এবং নাগরিকদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা প্রসঙ্গ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে আরও বক্তৃতা করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম। সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য উত্থাপন করেন গণসংহতি আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, সরকারের দখল লুণ্ঠন, আটক বাণিজ্য ঠেকাতে এই আইন করছে। কিন্তু ইন্টারনেট আবিষ্কারের আগেও যোগাযোগ ছিল। এখন আইন করেও বন্ধ করা যাবে না। এই আইনের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য সম্পাদক পরিষদকে ধন্যবাদ জানান তিনি। তিনি এই আইন নিয়ে বুদ্ধিজীবী মহলের একটা অংশের নীরবতা অস্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেন।

সাইফুল হক বলেন, সরকার প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে। আর বর্তমান আইনের নামে মানুষের বাকস্বাধীনতা, রাজনীতির স্বাধীনতাকে হরণ করা হবে। এমনকি এই কালো আইনে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কেউ গবেষণা, থিসিস করতে চাইলেও সরকারি দলের দলিল দস্তাবেজের বাইরে যেতে পারবে না।

জোনায়েদ সাকি বলেন, এটা রীতিমতো একটা সন্ত্রাসী আইন। জামিন পাওয়ার মতো মৌলিক অধিকারকে এই আইনের একাধিক ধারার মাধ্যমে বাতিল করা হয়েছে। এটা দেশের সংবিধান ও মানবাধিকারের বিরোধী।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর