রবিবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা
তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রমোট করবে ইয়াং বাংলা-মাইক্রোসফট

আমরা কাউকে পেছনে ফেলে যেতে চাই না : ববি

নিজস্ব প্রতিবেদক

তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রমোট করতে চায় ইয়াং বাংলা ও মাইক্রোসফট। এরই অংশ হিসেবে শুরু হয়েছে মাইক্রোসফট-ইয়াং বাংলা ইন্টার্ন সামিট ২০১৮। চার দিনব্যাপী সামিটের শেষ দিন গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউশনে দেশের শীর্ষ পাঁচ স্টার্ট আপ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় সামিটে যোগ দেওয়া ইন্টার্নদের। সেই সঙ্গে জানানো হয়— বিজয়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি ভালো আইডিয়া দেওয়া প্রতিটি দলকে ইয়াং বাংলার প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে দেওয়া হবে। বিজয়ী দলগুলোর পাশাপাশি এই সামিটে অংশ নেওয়া সব দলকে নিয়ে কাজ করবে ইয়াং বাংলা। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র এবং শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি বলেন, ইয়াং বাংলার স্লোগান কানেক্টিং দ্য ডটস। তরুণদের লবিস্ট হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে ইয়াং বাংলা। আমরা কাউকে পেছনে ফেলে যেতে চাই না।

আমার ভালো লাগছে প্রধানমন্ত্রীর চিন্তার সঙ্গে বর্তমান প্রজন্মের চিন্তা মিলে যাচ্ছে। তারা সবাই হাতে হাত ধরে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করছে। আশা করছি তরুণরা এভাবেই ইয়াং বাংলার সঙ্গে থাকবে।

সামিটের সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর সাব্বির বিন শামস এবং সিআরআই কো-অর্ডিনেটর তন্ময় আহমেদ। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ২০১৫ ও ২০১৭ সালের জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীসহ, মাইক্রোসফট ইয়াং বাংলা প্লাটফর্মের সব ট্রেইনার, কো-অর্ডিনেটর, ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডরসহ স্বেচ্ছাসেবী ও অন্যরা।

সামিটে অংশ নিতে আবেদন করে এক হাজারের বেশি উদ্যোক্তা। সারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রেজিস্ট্রেশন করে ৩২৪টি গ্রুপ। ২৫০টি গ্রুপ সামিটে অংশ গ্রহণের সুযোগ পায়। অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্য থেকে শীর্ষ ১০ দলকে বাছাই করা হয় ৫ অক্টোবর। এরপর তাদের সঙ্গে মার্চ মাসে সিলেক্ট করা শীর্ষ ১০ দল একত্রে তাদের আইডিয়া পিচ করে। এই ২ দলের মধ্য থেকে শীর্ষ ৫ দলকে প্রদান করা হয় অ্যাওয়ার্ড। বিজয়ী দলগুলো হলো— গরুর ডাক্তার, ফিন্যান্স উইজার্ড, ব্লেজ ওয়ারিয়ার্স, বিএসএল এবং মাইক্রো বিটস।

গরুর ডাক্তার দলের প্রধান নিজে একজন পশুর চিকিৎসক। তার নিজ সমস্যাগুলোর সমাধানে এক ভিন্ন ধর্মী অ্যাপস তৈরির আইডিয়া নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি। সামিটে অংশ নেওয়ার পর নিজ আইডিয়াকে আরও পরিপূর্ণতা প্রদানের সুযোগ পান তিনি। একটি গবাদি পশুর অসুখ হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে কীভাবে পৌঁছবে খামারি তা ভেবে তৈরি করা হয়েছে তার স্টার্ট আপ। নিজেদের মতো তরুণ উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহায়তার কথা মাথায় রেখে ফিন্যান্স উইজার্ড অ্যাপস তৈরি করেছে। তাদের মূল লক্ষ্য, কোনো আইডিয়া যেন অর্থের অভাবে নষ্ট হয়ে না যায়। বৃদ্ধদের নিয়ে কাজ করতে চায় ব্লেজ ওয়ারিয়ার্স। যেসব বৃদ্ধ একাকী জীবন কাটাচ্ছেন, হয়তো জীবিকার তাগিদে তাদের সন্তানরাও থাকতে পারছে না কাছে, তাদের জন্য বিশেষ সোশ্যাল মিডিয়া তৈরির পরিকল্পনা করেছে ব্লেজ ওয়ারিয়ার্স।

বাংলাদেশে ৩০ হাজারেরও বেশি বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীর জন্য শিক্ষামূলক অ্যাপস বানাতে কাজ করে যাচ্ছে বিএসএল। বাংলাদেশের প্রান্তিক পর্যায়ে এই বাক ও শ্রবণহীন শিশুদের জন্য শিক্ষা উপকরণ ও স্কুল স্থাপন খরচের পাশাপাশি সময় সাপেক্ষ বিষয়। কিন্তু বাসায় থাকা অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করে তারা এখন থেকে শিক্ষা লাভ করবে এটাই বিএসএল-এর চাওয়া। প্রকৃতিবান্ধব পণ্য উৎপাদন ও বণ্টন করতে চায় মাইক্রো বিটস। তাদের লক্ষ্য অপচনশীল দ্রব্য যেমন পলিথিনের বদলে পচনশীল প্যাকেজিং ব্যবস্থা এবং পণ্য সরবরাহের এমন এক প্রক্রিয়া তৈরি, যাতে প্রকৃতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর