শনিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

জাতিসংঘে উচ্ছল বাংলাদেশি দুই ছাত্রী

প্রতিদিন ডেস্ক

জাতিসংঘে ইন্টারন্যাশনাল ইয়ং লিডার্স অ্যাসেম্বলির গ্লোবাল সামিটে বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশি দুই ছাত্রী অংশগ্রহণকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাসমিয়া কায়েনাত আশা ও রায়ান আফরিন সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এই সামিটে সর্বকনিষ্ঠ অংশগ্রহণকারী হিসেবে সবার কৌতূহলী মনোযোগ কাড়ে। এনআরবি নিউজ। আশা তার বক্তব্যে বাংলাদেশকেই উদ্ভাসিত করে। আশা ঢাকার উদ্দীপন বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম, অষ্টম ও এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। সে ঢাকা সিটি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগের এইচএসসি পরীক্ষার্থী (২০১৮) অবস্থায় গত বছর ১৫ ডিসেম্বর পরিবারের সঙ্গে ইমিগ্র্যান্ট ভিসায় নিউইয়র্কে এসেছে। এখানকার শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রথমে তাকে নবম গ্রেডে ভর্তি করতে চেয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আশার মা-বাবার অনুরোধে তার জন্য বিশেষ একটি পরীক্ষার আয়োজন করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। চমৎকার রেজাল্ট প্রদর্শনে সক্ষম হওয়ায় তাকে একাদশ গ্রেডে ভর্তি করা হয়। আশা এখন নিউইয়র্ক সিটিতে উইলিয়াম কুলেন ব্রায়ান্ট হাইস্কুলের নিয়মিত ছাত্রী ছাড়াও পিএস-৯২-তে সহকারী শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছে। তার মা ফারহানা পারভীন (সান্ত্বনা) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার ছিলেন। বর্তমানে তিনি ম্যানহাটনে চেট্রি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস ল-ফার্মে কাজ করছেন।

সামিটে অংশ নেওয়া অপর বাংলাদেশি রায়ান আফরিনের বাবা মারুফুল ইসলাম, মা সাবিনা ইয়াসমিন। তারাও ২০১৫ সালে ইমিগ্র্যান্ট ভিসায় নিউইয়র্কে এসেছেন। রায়ান বাংলাদেশে এসএফএক্স গ্রিন হেরাল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে পড়ত। বর্তমানে আশা ও রায়ান একই স্কুলে একই শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। রায়ান সব সময়ই স্কুলে প্রথম হতো। এখানেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

 রায়ানের মা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা ছিলেন, বাবাও বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসে কাজ করতেন। রায়ান নিউইয়র্কের শিক্ষা সহায়ক প্রতিষ্ঠান ‘ববি তারিক’ এ কর্মরত। আশা আর রায়ান বিশ্বসভায় প্রতিনিধিত্বমূলক বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আমেরিকায় বসবাসরত বাংলাদেশি প্রজন্মে উদ্দীপনা জাগিয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর