মঙ্গলবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও মইনুলের জামিন নাকচ

আদালত প্রতিবেদক

রাজধানীর গুলশান থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের জামিন আবেদন নাকচ করেছে আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে মইনুল হোসেনের জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেন আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। এ সময় মইনুল হোসেনের জামিনের বিরোধিতা করেন ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু।

সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলা নিয়ে ২৪ অক্টোবর আওয়ামী লীগের উপকমিটির যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সদস্য সুমনা আক্তার লিলি বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন। পরে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য গুলশান থানাকে নির্দেশ দেন। থানা এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার পর কারাগারে থাকা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। মামলায় বাদীর অভিযোগ, আসামি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের লাইভ টেলিকনফারেন্সে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির প্রশ্নের জবাবে তাকে ‘চরিত্রহীন’ বলেন। সেখানেই তিনি থেমে থাকেননি। এরপর তিনি ১৮ অক্টোবর ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বলেছেন, শুধু তিনিই তাকে চরিত্রহীন বলছেন না, আরও অনেক মানুষ তাকে চরিত্রহীন বলছেন। সর্বশেষ তিনি নিউ নেশন পত্রিকার সাবেক সাংবাদিক রব মজুমদারের সঙ্গে টেলিফোনে মাসুদা ভাট্টি সম্পর্কে একাধিকবার ‘বাজে মেয়ে’ বলে সম্বোধন করেছেন। তার ওই বক্তব্য দেশের সব ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ও পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তার ওই মানহানিকর ‘চরিত্রহীন’ বক্তব্যে শুধু সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির মানহানি ঘটেনি, একজন নারী হিসেবে বাদীরও মানহানি ঘটেছে, যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(২) ও ২৯(২) ধারার অপরাধ। এর আগে রংপুরে একটি মানহানি মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে ২২ অক্টোবর গ্রেফতার করা হলে পরদিন ঢাকা সিএমএম আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। বর্তমানে তাকে রংপুরের কারাগারে রাখা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর