‘নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী নারীনেত্রী খুশী কবির বলেছেন, নিপীড়নের শিকার নারীদের অনেকেই এখন প্রতিবাদ করছেন। তারা অবশ্যই সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তারা শুধু মুখ খোলেননি, সমাজে নিপীড়কদের চেহারা, তাদের চরিত্র ও পরিচয় উন্মুক্ত করেছেন। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি। ‘আমরা মি টু আন্দোলনের পক্ষে, আমরা যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে’ শীর্ষক এ কর্মসূচিতে নারী সাংবাদিক, নারীনেত্রীসহ নারী পেশাজীবীরা অংশ নেন। তাদের হাতে ছিল নির্যাতন ও নিপীড়নবিরোধী প্লাকার্ড।
‘নিপীড়িতের পাশে দাঁড়ান, নিপীড়ককে ঘৃণা করুন’ স্লোগান তুলে মানববন্ধন থেকে সব নিপীড়কের আসল চেহারা তুলে ধরার আহ্বান জানানো হয় নিপীড়িতদের কাছে।
খুশী কবির আরও বলেন, মি টু আন্দোলনে নারীরা মুখ খুলবেন এবং এদের প্রগতির লেবাসধারী উত্পীড়কদের চেহারা উন্মোচন করবেন এটাই আশা করি। নিপীড়কদের আসল চেহারা আমরা উন্মোচন করতে চাই। এটা হলো মি টুর আসল উদ্দেশ্য।মানববন্ধনে বক্তব্যকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতিআরা নাসরিন বলেন, নারী অবশ্যই অনেক বেশি নির্যাতনের শিকার হন। কিন্তু একই সঙ্গে পুরুষরাও নির্যাতনের শিকার হন।
বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু বলেন, মি টু আন্দোলনের অংশ হিসেবে যারা মুখ খুলেছেন তারা সাহসী, আগামীতে তাদের পথ ধরে আরও অনেকে এগিয়ে আসবেন। যাদের বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে তারা যেসব অফিসে কর্মরত আছেন তাদের কর্তৃপক্ষকে বলব, যেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
মানববন্ধনে বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করা নারীরা নিপীড়নের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন।