শনিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

দেশের উন্নয়নে কর চাইলেন তারকারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে করদাতাদের কাছে আরও বেশি বেশি আয়কর প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন বিনোদন জগতের খ্যাতনামা তারকারা। তাদের দাবি, বাংলাদেশে এখন কর প্রদানের পরিবেশ খুবই ভালো। নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরিতেও গর্ববোধ করেন এই জনপ্রিয় তারকারা। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবন প্রাঙ্গণে জাতীয় আয়কর দিবস-২০১৮ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রিয়জনরা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানটির সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ) জিয়া উদ্দিন মাহমুদ, সদস্য (আন্তর্জাতিক করনীতি) কালিপদ হালদার, চলচ্চিত্র তারকা গুলশান আরা আক্তার চম্পা, দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা ফেরদৌস, রিয়াজ, জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী শুভ্র দেবসহ সংস্কৃতি ও বিনোদন জগতের সেলিব্রেটিরা। আয়কর প্রদানে সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর ৩০ নভেম্বর সরকার জাতীয় আয়কর দিবস পালন করে। এবার দিবসের স্লোগান ‘উন্নয়ন ও উত্তরণ, আয়করের অর্জন’।

চলচ্চিত্র তারকা গুলশান আরা আক্তার চম্পা বলেন, কর দেওয়া এখন আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। দেশের প্রতিটির মানুষ, যাদের কর দিতে হবে তাদের কর দেওয়ার অভ্যাস করে গড়ে তুলতে হবে। নায়ক ফেরদৌস বলেন, কর প্রদানে সবাইকে সচেতন হতে হবে। বিশেষত তরুণদের। সবাইকে কর প্রদানের বিষয়ে সচেতন করতে হবে। সবাইকে কর প্রদানের মাধ্যমে দেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে হবে।

নায়ক রিয়াজ বলেন, অর্থমন্ত্রী বলেছেন কর দেওয়া বাহাদুরি, কর দেওয়ার মাধ্যমে আমিও তা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি। পদ্মা সেতুর কাজ চলছে, এতে কোনো একটি সিমেন্টের বস্তা আমার টাকায় কেনা, তা নিয়ে আমি মনেপ্রাণে গর্ববোধ করি।  সংগীতশিল্পী শুভ্র দেব বলেন, বাংলাদেশে এখন কর প্রদানের পরিবেশ খুবই ভালো। নিজেদের টাকা দিয়ে আমরা পদ্মা সেতু করতে পারলে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু টাওয়ারও করতে পারব। আর তা করতে চাইলে সবাইকে কর দিতে হবে।

এনবিআরের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সবাইকে আয়কর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আয়কর আদায়ের পরিমাণ ১০ গুণ বাড়ালে বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে যাবে। ১৯৮৬ সালে আমাদের কালেকশন ছিল দুই হাজার ৬০০ কোটি টাকা, সেখান থেকে ২৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে অনেক বড় ফিগার হয়েছে। আরও যদি ২৬ গুণ বৃদ্ধি পায়, তাহলে এটা পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম ইকোনমি হয়ে যাবে। এনবিআর সেই লক্ষ্যে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, করদাতাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সৌহার্দ্যপূর্ণ হয়েছে। ‘আয়কর বিবরণী দাখিল গত দুই বছর ধরে ৪০ শতাংশ হারে বাড়ছে’ জানিয়ে তিনি বলেন, অ্যাকটিভ করদাতা এখন ১৫ লাখ, সেটা যখন এক কোটি হয়ে যাবে, তখন দেশের আরও বেশি উন্নয়ন হবে। কর অনুপাত ১২ শতাংশে নিয়ে যেতে পারলে অর্থনীতি মজবুত হবে।

এনবিআর সদস্য কালিপদ হালদার বলেন, গত বছর করদাতা ছিল ৩২ লাখ, এ বছর তা ৩৮ লাখ হয়েছে। ২০১৪ সালে ছিল মাত্র ১২ লাখ। মাত্র চার বছরে করদাতা বেড়েছে তিন গুণের বেশি। তবে গত ১০ বছরে প্রকৃত করদাতা বেড়েছে পাঁচ গুণ।

সর্বশেষ খবর