রবিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার

৩ পরীক্ষার্থীসহ গ্রেফতার ৭

নিজস্ব প্রতিবেদক

পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করায় তিন পরীক্ষার্থীসহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির সিরিয়াস ক্রাইম ইউনিট। গ্রেফতারকৃতরা মন্ত্রণালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে চুক্তিবদ্ধ প্রার্থীকে উত্তর জানিয়ে দিত। প্রতি প্রার্থীর সঙ্গে ৫-১০ লাখ টাকায় চুক্তি করত। গতকাল ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিসি (মিডিয়া) মো. মাসুদুর রহমান।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন— সোহেল রানা, রবিউল আউয়াল, মাহমুদুল, আনসারুল ইসলাম, দেবাশীষ, রাজিউর রহমান ও রেজাউল করিম। শুক্রবার রাতে সিদ্ধেশ্বরী, মিরপুর ও কলাবাগান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৮টি প্রশ্নপত্র প্রেরণের ডিভাইস, ২৯টি ব্যাটারি, ৩টি পেনড্রাইভ, ০৯টি ব্লু-টুথ ডিভাইস, ৯টি বিভিন্ন অপারেটরের সিমকার্ড ও ৮টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। ডিএমপির ডিসি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ পরীক্ষাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে থাকে। তাদের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ চক্রের কয়েকজন সদস্য ডিভাইসসহ পরীক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়া মাত্র ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে তা কেন্দ্রের বাইরে অবস্থানরত চক্রের অন্য সদস্যদের কাছে পাঠায়।

বাইরে অবস্থানরত চক্রের সদস্যরা দ্রুত প্রশ্নপত্র সমাধান করে পুনরায় তা  চুক্তি অনুযায়ী পরীক্ষার্থীদের কাছে সরবরাহ করে। এ প্রক্রিয়ায় তারা অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে মোটা অঙ্কের অর্থ সংগ্রহ করে। এই চক্রের সোহেল রানা এর আগেও আমাদের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। তার ওপর গোয়েন্দা নজরদারি ছিল।

গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে প্রশ্নের সমাধান দিতে কাজ করতেন। শুক্রবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের (ডিএনসি) এসআই পদে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সমাধানচক্রে জড়িত ছিল গ্রেফতারকৃতরা।

তবে ডিএনসির ডিজি মো. জামাল উদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। প্রশ্নপত্র প্রণয়নসহ বিতরণ ও পরীক্ষা গ্রহণ পর্যন্ত কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারীরা মোবাইল সেট জমা দিয়ে ডিএনসির কার্যালয়ে কাজ করেছেন।

ছাপানো কপি কেন্দ্র অনুযায়ী আলাদা প্যাকেটে সিলগালা করে কঠোর নিরাপত্তায় পাঠানো হয়। হলে পরীক্ষা শুরুর ১০ মিনিট আগে প্যাকেটগুলো খোলা হয়। ৫ মিনিট আগে প্রশ্ন বিতরণ করা হয়। যারা প্রণয়ন করেছেন তারা পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর মোবাইল সেট নিয়ে ডিএনসি কার্যালয় থেকে বের হন।

সর্বশেষ খবর