বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা

নির্বাচনী সহিংসতা না হওয়ার গ্যারান্টি দিতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন ও নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা না হওয়ার গ্যারান্টি দিতে হবে নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে। সারা দেশে নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতায় মানুষের প্রাণ সংহারের মতো আতঙ্ক কাজ করছে। সংখ্যালঘু ও পাহাড়ের মানুষের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। এই উদ্বেগ দূর করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন ও সরকারের। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পার্বত্য তিন জেলার আদিবাসী ভোটারদের অবাধ অংশগ্রহণ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন— অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, মানবাধিকার ও উন্নয়নকর্মী খুশী কবির, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, নির্বাচনের আগে পার্বত্য তিন জেলাসহ সারা দেশে এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে সাধারণ নাগরিক ও ভোটাররা নিঃশঙ্কচিত্তে, নিরাপদে ও স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। ভোটের আগে, ভোটের দিন ও ভোটের পরে কোনোরূপ নিপীড়ন-নির্যাতন ও হয়রানির শিকার যেন না হয়, তার গ্যারান্টি দিতে হবে। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে পার্বত্য চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার, পাহাড়ের মানুষগুলোর স্বাভাবিক জীবনযাপন, স্বাধীনভাবে চলাফেরা ও মত প্রকাশের অধিকার, নির্ভয়ে স্ব স্ব ধর্ম পালনের নিশ্চয়তা বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে সুস্পষ্টভাবে বক্তব্য শুনতে চাই। সংবাদ সম্মেলনে গৌতম দেওয়ান বলেন, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর যে শান্তির লক্ষ্যে পার্বত্য চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল, সেই চুক্তি ২১ বছরেও পূর্ণ বাস্তবায়ন না করতে পারার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্যমান পরিস্থিতি ক্রমাবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর