রবিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের কর্মশালায় বক্তারা

ইসির ভূমিকা সন্তোষজনক

নিজস্ব প্রতিবেদক

সন্তোষজনক ভূমিকা রাখছে নির্বাচন কমিশন। সব রাজনৈতিক দল সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করলে একাদশ সংসদ নির্বাচন হবে স্মরণীয়। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এ কথা বলেন বক্তারা। তাদের মতে, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করতে নির্বাচন কমিশন, সরকার ও প্রশাসনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে এবং সহযোগিতা করতে হবে। কর্মশালায় ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। প্রধান আলোচক ছিলেন বিচারপতি শিকদার মকবুল হক। বিশেষ অতিথি বিচারপতি এম আবদুস সালাম। কর্মশালায় ইলেকশন মনিটরিং ফোরামে সম্পৃক্ত নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ২৫টি সংগঠন ও ২৬টি এনজিওর পর্যবেক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় বলা হয়, কোনো পর্যবেক্ষক সংস্থা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হয়ে কাজ করলে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। পর্যবেক্ষণ করতে হবে সত্য ও নিষ্ঠার সঙ্গে সঠিক এবং বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে হবে। অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, নীতি ও দর্শনের বিপরীতে কিছু হতে পারে না। পর্যবেক্ষণের আচরণবিধির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা দরকার। দেশ-সমাজ অর্থনৈতিকভাবে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তেমনি চারিত্রিক উন্নয়নও ঘটেছে। বিচারপতি শিকদার মকবুল হক বলেন, ইসি সচিব বলেছেন পর্যবেক্ষকদের ভোট কেন্দ্রে মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। তাহলে এই পর্যবেক্ষণ কোনো কাজে আসবে না। আমরা চাই পর্যবেক্ষকদের স্বাধীনতা। তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে, পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।

আমরা ইতিপূর্বে এমনও নির্বাচন দেখেছি প্রিসাইডিং অফিসারের মাধ্যমে ভোট সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়ে এমপি বানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ধর্মীয় দৃষ্টিকোণের দিক থেকে বিচারপতি এম আবদুস সালাম বলেন, দায়িত্বশীল পদে কোনো চরিত্রহীন ব্যক্তিকে বসানো যাবে না। দায়িত্বশীল পদের ব্যক্তিরা অবশ্যই চরিত্রবান হবেন। সৎ-চরিত্রবান ব্যক্তিকেই ভোট দিতে হবে। দুর্নীতিবাজ যে-ই হোক তাকে ঘৃণা করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর