বৃহস্পতিবার, ৩ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

শতকোটি টাকা রাজস্ব আদায়ে মাঠে আরিফ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেট সিটি করপোরেশনের নিজস্ব আয়ের অন্যতম খাত হোল্ডিং ট্যাক্স, পানির বিল, ট্রেড লাইসেন্স ও বিলবোর্ডের ভাড়া। এ খাতগুলো থেকে অর্জিত আয় থেকে নির্বাহ করা হয় সিটি করপোরেশনের অভ্যন্তরীণ অনেক ব্যয় । কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই চারটি খাতে প্রায় শতকোটি টাকার বিল বকেয়া পড়ে থাকায় টান পড়েছে করপোরেশনের আর্থিক ব্যবস্থাপনায়। এ অবস্থায় অবশেষে বকেয়া বিল আদায়ে মাঠে নেমেছেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বিল আদায়ে করপোরেশনের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে তিনটি কমিটিও। সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) সূত্র জানায়, হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ ৬৭ কোটি, পানির বিল ১২ কোটি, ট্রেড লাইসেন্স বাবদ ২০ কোটি ও বিলবোর্ডের ভাড়া ১ কোটি টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্টদের তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও এই বিল আদায় করতে পারছে না সিসিক। উপরন্তু প্রতি মাসেই বেড়ে চলছে বকেয়ার পরিমাণ। তাই বকেয়া বিল আদায়ে এবার শুধু নোটিস নয়, ‘অ্যাকশনে’ নেমেছে সিটি করপোরেশন। বকেয়া বিল আদায়ে সিসিকের সচিব মো. বদরুল হক, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান ও নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবরের নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে তিনটি কমিটি। এই কমিটির সদস্যরা সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে মাঠে নেমেছে। গতকাল তারা নগরীর মহাজনপট্টি, কাষ্টঘর ও লালদিঘীরপাড় এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় বকেয়া বিলের জন্য সংশ্লিষ্টদের কঠোর আলটিমেটাম দেওয়া হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া বিল পরিশোধ না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তারা। অভিযানকালে মহাজনপট্টির এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ নগদ ২০ হাজার টাকাও আদায় করা হয়।

এ ব্যাপারে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স, পানির বিল, ট্রেড লাইসেন্স ও বিলবোর্ডের ভাড়া বাবদ সিটি করপোরেশনের পাওনা বকেয়া বিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে একশ কোটি টাকা। বার বার নোটিস দেওয়ার পরও সংশ্লিষ্টরা বকেয়া বিল পরিশোধ করছেন না। তাই করপোরেশন বাধ্য হয়ে কঠোর হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে ২৭টি ওয়ার্ডে বকেয়া বিল আদায়ে অভিযান চালানো হবে। আগামী দুই মাসের মধ্যে সব বিল আদায় করা হবে। যদি কেউ বিল আদায় না করেন তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে সিটি করপোরেশন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর