শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

‘গণহত্যাকে গুগলে অন্তর্ভুক্তি করুন’

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

একাত্তরের গণহত্যাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুগলে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ২০ জেলায় ৫ হাজার ১২১টি গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। একেকটি গণহত্যায় সর্বনিম্ন ৫ থেকে ১ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়। গতকাল বাংলা একাডেমিতে ‘গণহত্যা-বধ্যভূমি ও গণকবর জরিপ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি একথা বলেন।

 এ সময় তিনি আরও বলেন, দেশে গণহত্যার রাজনীতি রয়েছে। একাত্তরে পাকিস্তান এই রাজনীতি করেছিল আমাদের দমন করার জন্য, চিরদিনের জন্য আমাদের কলোনি করে রাখার জন্য।

 আর পঁচাত্তর-পরবর্তী সময় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও পরে তার স্ত্রী খালেদা জিয়া, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ একাত্তরের গণহত্যার বিষয়টিকে বিস্মৃত করে দিতে চেয়েছেন। বিএনপি-জামায়াত গণহত্যার বিষয়টি মুছে দিতে চেয়েছে।

কারণটা গণহত্যার বিষয়টি থাকলে তাদের রাজনীতি থাকে না। পাকিস্তানি এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্যই তারা রাজনীতি করছিল। গণহত্যার বিষয় তুলে ধরে তিনি আরও জানান, বরিশাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জামালপুর, নড়াইলসহ ১০টি জেলায় মুক্তিযুদ্ধে ৪ হাজার ১৮০টি গণহত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে ২০ জেলায় ৫ হাজার ১২১টি গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। এই গণহত্যাকে ‘গুগলে’ অন্তর্ভুক্তির জন্য সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল। উদ্বোধনী অধিবেশনে গাইবান্ধা, জামালপুর, নড়াইল, পঞ্চগড়, মৌলভীবাজার, যশোর, লালমনিরহাট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বরিশাল ও কক্সবাজার জেলার গণহত্যার জরিপ নিয়ে দশজন লেখকের ‘গণহত্যা, গণকবর ও বধ্যভূমি জরিপ’ নামের দশটি বই প্রকাশ করা হয়।

সর্বশেষ খবর