বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিয়ে শত শত মানুষের জীবন নিয়ে রাষ্ট্র শোক পালন করছে। দেশের মানুষ এ ধরনের রাষ্ট্রীয় শোক দেখতে চায় না, দেশের মানুষ চায় প্রতিটি হত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত এবং সে অনুযায়ী বিচার। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জি এম কাদের আরও বলেন, সাম্প্রতিক আন্দোলনে মেট্রোরেলের দু-একটি স্টেশন ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দু-একটি টোল প্লাজা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যায়।
মেট্রোরেলের ইঞ্জিন, বগি ও লাইনের কোনো ক্ষতি হয়নি বলেই জানি। সে কারণে ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশনগুলো বন্ধ রেখে মেট্রোরেল অবিলম্বে চালু করা সম্ভব বলে মনে করছি। একইভাবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল অবকাঠামোর কোনো ধরনের ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়নি। প্রয়োজনে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে টোল আদায়ের ব্যবস্থা করে যান চলাচল পুনরায় শুরু করা যেতে পারে। আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অজুহাতে গুরুত্বপূর্ণ সেবা বন্ধ রেখে মানুষকে কষ্ট দেওয়া উচিত নয়। এগুলো সাধারণ মানুষের অর্থে সাধারণ মানুষের সেবার জন্যই নির্মাণ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইন্টারনেট পরিষেবা পুরোপুরি চালু না হওয়ায় সাধারণ মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করতে পারছে না। এতে তথ্য আদানপ্রদান বিঘিœত হচ্ছে মারাত্মকভাবে। আবার দেশের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে প্রবাসীরা স্বজনদের খোঁজ নিতে পারছে না। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় না পাঠানোর হুমকি দিচ্ছে। যা দেশের জন্য খুবই ভয়াবহ। অপরদিকে, উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ গমনেচ্ছুক ছাত্ররা যোগাযোগ করতে পারছে না বিদেশের সঙ্গে। ইন্টারনেট পুরোপুরি চালু না হলে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হবে।