কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের বিচার দীর্ঘায়িত না করে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুত এসব ঘটনার বিচারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) উদ্যোগে আয়োজিত ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে দেশব্যাপী নৈরাজ্য, নাশকতা ও হামলায় সাংবাদিক নিহত-আহত এবং সংবাদমাধ্যমের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন সাংবাদিক নেতারা।
সমাবেশে ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে যে সাংবাদিকরা আহত এবং নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ এবং রাষ্ট্র যাতে তাদের দায়িত্ব নেয়; সেজন্য আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি। যারা আহত-নিহত হয়েছেন আমরা এ ঘটনাগুলোর তীব্র নিন্দা জানাই। তিনি বলেন, নিহতদের পরিবারকে রাষ্ট্র সবধরনের সাহায্য করতে হবে। যারা আহত হয়েছেন, তারা সুস্থ হওয়া পর্যন্ত সাহায্য করতে হবে। সাংবাদিক পরিবারগুলোর যে কোনো একজন সদস্যকে একটি চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে হবে। প্রত্যেকটি সংবাদকর্মীর দায়িত্ব তাদের মালিককে গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে হবে।
সমাবেশে উপস্থিত হয়ে (বিএফইউজে) বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, বারবার সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটতেই থাকে। সেজন্য আমাদের একটাই দাবি, সেটি হলো স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল করতে হবে। দ্রুত এসব ঘটনার বিচার করতে হবে।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব দীপ আজাদ বলেন, প্রতিবাদ করতে করতে আমরা ক্লান্ত হয়ে গেলেও আক্রমণকারীরা ক্লান্ত হয় না। কারণ হলো সাংবাদিক হত্যার বিচার হয় না। আমাদের চারজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। ২১৮ জন সাংবাদিক সারা দেশে আহত হয়েছেন। সাংবাদিকদের আটটি গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। ৩৮টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। সাংবাদিক হত্যা এবং নির্যাতনের বিচার করতে হবে। সমাবেশে সাংবাদিকসহ যারা আহত ও নিহত হয়েছেন তাদের স্মরণে সাংবাদিক নেতারা দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং দোয়া ও মোনাজাত করেছেন।