আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে চাই না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির অভিভাবক। তিনি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি সংঘাত চান না। সংঘাত হতে পারে এমন কর্মসূচি আমরা এড়িয়ে চলছি। বিভেদ নয়, আমরা ঐক্যে বিশ্বাসী। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, স্বাধীনতার আদর্শের প্রতি আমাদের কমিটমেন্ট শতভাগ। আমরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করি। তারা আগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। দেশটি আমাদের সবার। গতকাল দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। কাদের বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাইবার সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন গুজব-অপপ্রচার চালাচ্ছে।
দেশবিরোধী মহল চলমান সংকট জিইয়ে রেখে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। রবিবার ঢাকা সিটির সব ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জমায়েত, সব জেলা ও মহানগরে কর্মী জমায়েত কর্মসূচি পালন করা হবে। সোমবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশন থেকে শুরু হয়ে ধানমন্ডি ৩২-এ বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত শোক মিছিল করবে আওয়ামী লীগ।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রশ্ন করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গতকাল (শুক্রবার) পুলিশ সদস্যকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে; এ হত্যার দায় কার? কারা হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করল? আমরা বিশ্বাস করি সাধারণ শিক্ষার্থীরা এসব সন্ত্রাস ও সহিংস কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত নয়। অবুঝ শিশুরা কোনো রাজনৈতিক বিবেচনায় পড়ে না। অবুঝ শিশুর তাজা প্রাণ ঝরিয়ে সরকারের তো কোনো লাভ নেই! লাভ তাদের যারা এই শিশুর লাশ থেকে ফায়দা লুটতে চায়। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। আমরা ইউনিসেফকে অনুরোধ করব, ৩২ শিশু হত্যার কথা তারা বলেছে, আমরা সেই ৩২ শিশুর নাম, ঠিকানা জানতে চাই। এটা পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব। সত্য খুঁজে বের করব।
এ সময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, আফজাল হোসেন, সাবেক উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণালকান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।