বরিশালে সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বাসা থেকে লুট করা প্রায় ৭ লাখ টাকা শিক্ষার্থী ও সেনারা উদ্ধার করে পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার রাত ৯টায় কাউনিয়া থানায় জমা দিয়েছে বলে ওসি আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পলাশপুর থেকে শিক্ষার্থী ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাদিক আবদুল্লাহর বাসা থেকে লুট হওয়া ৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে। পরে তাদের কাছে জমা দিয়েছে। জিডিমূলে টাকা হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত ৫ আগস্ট নগরীর কালিবাড়ী রোডের সেরনিয়াবাত ভবনে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট করে দুর্বৃত্তরা। এতে বাসায় থাকা তিনজন আগুনে পুড়ে মারা যান। এলাকাবাসী জানিয়েছে, পলাশপুরের জামাল খানের বাবা কায়উম খানের কাছ থেকে নগদ টাকার সঙ্গে একটি নতুন মোবাইল ফোন সেটও উদ্ধার করা হয়েছে।
এলাকার পুতুল ও রাজিব সরদার জানিয়েছেন, জামাল আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি সার্বক্ষণিক সাদিক আবদুল্লাহর সঙ্গেই থাকতেন। গত ৫ আগস্ট সাদিকের সঙ্গে তার বাসায় অবস্থান করছিলেন জামাল।
তাদের ধারণা সাবেক মেয়রের নগরীর কালিবাড়ী রোডের বাসায় হামলা-ভাঙচুর এবং লুটপাট চলাকালে স্কুল ব্যাগভর্তি টাকা নিয়ে বাসায় চলে আসে। দুই দিন পূর্বে ওই টাকা গণনা করলে তার এক আত্মীয় দেখে ফেলেন এবং তাদের অবহিত করেন।
এমনকি বিভিন্ন স্থানে লোক দিয়ে জমি কেনারও চেষ্টা করে জামাল। জামালের পরিবারের মাধ্যমে তারা নিশ্চিত হয়েছেন ওই ব্যাগে ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ছিল। বিষয়টি জানার পর এলাকাবাসী জামালের অফিসের তালা দেয়। তার ঘরে ভাঙচুর চালালে জামাল ওই টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে রেখে যাওয়া ৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর সেনাবাহিনীর সহায়তায় কাউনিয়া থানায় জমা দেওয়া হয়।