চাঁদাবাজি ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা মাজহারুল ইসলাম সুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১। আদালতের নির্দেশে দায়েরকৃত মামলাটি আমলে নিয়ে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গতকাল রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব-১-এর এএসপি (মিডিয়া) মো. মাহফুজুর রহমান এসব তথ্য জানান। জানা যায়, চাঁদাবাজি ও ভূমি দখলসহ বেশ কিছু অভিযোগে ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাতবারের এমপি দবিরুল ইসলাম ও তার ছেলে সাবেক এমপি মাজহারুল ইসলাম সুজনসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ২০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে আদালতে একটি মামলা হয়েছে। ঠাকুরগাঁওয়ের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে গত ৩ সেপ্টেম্বর মামলাটি করেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শিবগঞ্জ এলাকার ব্যবসায়ী হাবিবুল ইসলাম বাবলু।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ঠাকুরগাঁও থানাকে এফআইআর হিসেবে নেওয়ার নির্দেশ দেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলার বাদী হাবিবুল ইসলাম বাবলু বলেন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় তার ৯০ একর জমি রয়েছে। এর মধ্যে দখলে রয়েছে ২০ একর, বাকি জমি এমপি দবিরুল, এমপি সুজন ও অন্য আসামিরা দখল করে রেখেছেন। আশা করছি, আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পাব।
বাদীপক্ষের আইনজীবী জয়নাল আবেদীন বলেন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বেউরঝারি মৌজায় প্রায় ৯০ একর জমি ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছেন বাবলু। আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি দবিরুল ইসলাম, সুজনসহ আসামিরা বাদীর কাছে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে জমি দখল করে নেওয়াসহ বাদীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে এমপি সুজনের গ্রেপ্তারের বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ক্ষিপ্ত হয়েছেন ঠাকুরগাঁও-২ আসনের অনেক মানুষ।