সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না। নির্বাচনি অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের বিচার হওয়া উচিত। গতকাল রাজধানী তেজগাঁওয়ের এফডিসিতে গণতন্ত্র সুরক্ষায় রাষ্ট্র মেরামত এবং জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার পর তাদের অনেকেই পালিয়ে গেছে। নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কাউকে এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ ছাড়া জাতীয় নির্বাচন হলে সে নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না। ডামি, একতরফা ও মধ্যরাতের নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ এ দেশে নির্বাচনি ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছে। গত তিনটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, প্রশাসন, রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসারসহ নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত প্রায় সবাই অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন ব্যবস্থাকে বিভিন্ন অজুহাতে দলীয়করণ করে সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছে। অতিউৎসাহী হয়ে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছে। তাই নির্বাচনি অপরাধে অভিযুক্ত সব ব্যক্তিকে বিচারের আওতায় আনার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল রুটিন সরকার। অন্তর্র্বতী সরকারকে ১৫-১৬ বছরের জঞ্জাল দূর করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। তারপরেও জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত হলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা হ্রাস পেতে পারে। ২৮ অক্টোবর পরিকল্পিতভাবে নয়াপল্টনে হামলা চালিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। নির্বাচনের জন্য সমতল ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে পারেনি। সে সময় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে সরকারের রূপরেখা বাস্তবায়নের জন্য কয়েকটি কথিত দলকে নিবন্ধন দিয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতা শেষে চ্যাম্পিয়ন দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। প্রতিযোগিতায় প্রস্তাবের পক্ষে জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি এবং বিপক্ষে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা অংশ নেন।