স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেশি। আমরা ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ট্রাস্ট হিসেবে কাজ করছি। জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ বর্তমান সরকারের একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
গতকাল সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগে উপদেষ্টার কার্যালয়ের সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রিংগলি সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন। স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য কী রাষ্ট্রদূতের এমন প্রশ্নের উত্তরে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেন, ১৫ বছরে স্থানীয় সরকারের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। জাতীয় পর্যায়ের সিদ্ধান্ত নিতে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিরা খুব বেশি ভূমিকা রাখতে পারে না। কিন্তু স্থানীয় সরকারের সব পর্যায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হলে তারা প্রকৃত অর্থেই স্থানীয় পর্যায়ের জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করবে।
স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হলে জাতীয় পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভূমিকা রাখবে।
উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বিগত সরকারের আমলে নির্বাচিত স্থানীয় সরকারের সব পর্যায়ের প্রতিনিধিদের অপসারণ করেছি। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা এবং জেলা পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া ইউনিয়ন পরিষদগুলো তদন্তসাপেক্ষে পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা হয়েছে। আমরা চাই, স্থানীয় পর্যায়ের সব স্তরের প্রকৃত জনপ্রতিনিধিরাই সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ী হয়ে আসুক।
উপদেষ্টা বলেন, একটি জবাবদিহিতামূলক সরকার ব্যবস্থা আমরা সবাই চাই। এজন্য সাংবিধানিক সংস্কার প্রয়োজন। নির্বাচন ব্যবস্থাকে ১৫ বছরে পরিপূর্ণরূপে ধ্বংস করা হয়েছে। শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার ছয়টি কমিশন গঠন করেছে। সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব মোসাম্মৎ শাহানারা খাতুন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ, সুইজারল্যান্ডের ডেপুটি হেড অব মিশন এবং হেড অব কো-অপারেশন করিন হেনচজ পিগনানিসহ প্রমুখ।