‘২০০৯ সালে সারা দেশে তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চেয়ে আবেদনের সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার ৪১০টি। ২০২৩ সালে সেটি না বেড়ে কমে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৭৮৭টি। তথ্যের চাহিদা সৃষ্টির উপযুক্ত পরিবেশ ও প্রতিবেশের অভাব এবং তথ্য গোপন সংস্কৃতির কারণে তথ্য চাওয়ার আবেদন কমেছে। অন্যদিকে আইনগত প্রক্রিয়ায় তথ্য চাওয়ার কারণে হামলা-মামলা ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অসহযোগিতার কারণে সাধারণ মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।
গতকাল খুলনায় আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল মামুন তথ্য উপস্থাপন করেন।
টিআইবির সহযোগিতায় খুলনা জেলা প্রশাসন আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এতে বলা হয়, খুলনা জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েব পোর্টাল পর্যবেক্ষণে জানা যায় ১০৮টির মধ্যে ৪৪টিতে তথ্য প্রদানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রয়েছে। সেবার তালিকা সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে ৭৫টিতে। অফিস প্রধানের তথ্য ১০১টিতে ও ওয়েব পোর্টাল সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের খবর আছে ২১টিতে।
বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, তথ্য হলো একটি পরাশক্তি।
ভুল তথ্য সরবরাহ করে কোনো সরকার বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক মো. তবিবুর রহমান, অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির, সাংবাদিক এনামুল হক ও শেখ দিদারুল আলম। বরিশালে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালন।
এদিকে, বরিশালে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে গতকাল জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন প্রধান অতিথি ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজওয়ান আহমেদ, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক গৌতম বাড়ৈ, সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান, জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক মো. রিয়াদুল ইসলাম, সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ গাজী জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, যে কোনো বিধিমালা, প্রবিধানমালা ও আইন প্রনয়ণের পর গেজেট হলে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের এ বিষয়ে শতভাগ ধারণা থাকতে হবে। তবেই সাধারণ মানুষ কাক্সিক্ষত সেবা পাবেন। সবার তথ্য অধিকার আইন জানা প্রয়োজন। তথ্য অধিকার আইন জনগণের জন্য উল্লেখ করে বক্তারা আরও জানান সরকারি দপ্তরের তথ্য ওয়েবসাইডে হালনাগাদ করতে হবে। স্বপ্রণোদিতভাবে তথ্য ভান্ডার উন্মোচন করতে হবে। তথ্য পাওয়ার মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষ মুক্তি পাবে। সরকারি দপ্তরে তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা অবশ্যই নিয়োগ করতে হবে বলে জানানো হয়।