দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গৃহীত গণত্রাণ কর্মসূচির পূর্ণাঙ্গ অডিট প্রকাশ করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট অনুযায়ী, এ কর্মসূচিতে মোট ১১ কোটি ৬৯ লাখ ৮৪ হাজার ৪২০ টাকা সংগৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৩৩ হাজার ২০৭ টাকা। বর্তমানে দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মোট ৯ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ২১৩ টাকা জমা আছে। গত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এ অডিট প্রকাশ করা হয়। অডিট ঘোষণা করেন পি কে এফ আজিজ হালিম খায়ের চৌধুরী চার্টার্ড অ্যাকাউন্টের পার্টনার এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অডিটর গোলাম ফজলুল কবির।
গোলাম ফজলুল কবির বলেন, ‘আমাদের ১০ সেপ্টেম্বর অডিটের জন্য ডাকা হয় যা ৩০ সেপ্টেম্বর আমরা শেষ করি। সব মিলিয়ে ২০ দিন লাগে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বিশেষ প্রয়োজনে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে টাকা নিয়েছিলেন। পরে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট তৈরি করে সেখানে ট্রান্সফার করা, এ ছাড়া ২ লাখ টাকার কয়েন আমাদের হিসাব করতে হয়। এরপর স্ক্র?্যাপ, স্বর্ণ বিক্রি করে পাওয়া অর্থও যোগ হয়। আয়ব্যয়ের হিসাব স্বচ্ছ করতেই মূলত হিসাব দিতে দেরি হয়েছে।
আয়ব্যয়ে গরমিল ছিল কি না-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এমন কিছু খুঁজে পাইনি যেটা নিয়ে আমরা প্রশ্ন করব। তাদের আয়ব্যয় হিসাব স্বচ্ছ ছিল।’
এদিকে উত্তরবঙ্গের বন্যার স্থায়ী সমাধান চেয়ে অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা শুধু খসড়া, দলিলপত্রে নয়; এর স্থায়ী সমাধান চাই।’ এজন্য সরকারকে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।