১৩ মে, ২০১৮ ১৪:২২

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মালিকানা নিয়ে ফখরুলের বক্তব্য অসত্য

মোহাম্মদ এ. আরাফাত

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মালিকানা নিয়ে ফখরুলের বক্তব্য অসত্য

মোহাম্মদ এ. আরাফাত

আবারও একটি ডাহা মিথ্যা কথা বললেন ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মালিকানা নাকি দুটো প্রাইভেট কোম্পানির হাতে চলে গেছে। ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব তো নিশ্চই এতো অজ্ঞ নন যে তিনি বিষয়টি জানেন না। জেনে বুঝেই নিশ্চয়ই তিনি দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করার জন্যই এই ডাহা মিথ্যা কথাটি বলেছেন। দেশের উন্নয়ন এবং এগিয়ে যাওয়া আপনাদের ছোট মানসিকতা ধারন করতে পারে না, আপনাদের মেনে নিতে কষ্ট হয়, এটা জাতি বোঝে। এর আগেও সমুদ্রসীমা জয় এবং সাবমেরিন ক্রয় নিয়েও আপনাদের একই ধরনের সংকীর্ণ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ জাতি দেখেছে।

অবশ্য বলা যায় না,  এটি অজ্ঞতাও হতে পারে। বিএনপি নেতৃত্বের অজ্ঞতা তো জাতি আগেও দেখেছে। নব্বই দশকের গোড়ার দিকে বিনে পয়সায় বাংলাদেশকে সাবমেরিন ক্যাবলে সংযুক্ত হওয়ার যে প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছিলেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এবং বাংলাদেশেকে পিছিয়ে দিয়েছিলেন, সেই একই জিনিস দ্বিতীয়টি অর্থাৎ দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটাই পার্থক্য। 

কাজেই স্যাটেলাইট দেশের কী কী উপকারে আসবে তা বিএনপির মতো দূরদৃষ্টিহীন একটা দল এবং তাদের সঙ্গী বাংলাদেশ বিরোধী জামায়াত কীভাবে বুঝবে? 

১৯৯১ সালে ফ্রি সাবমেরিন ক্যাবলে যোগ দিলে এত দিনে বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতের বৈদেশিক আয় গার্মেন্টস সেক্টরকেও ছড়িয়ে যেত।

ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলতে চাই, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মালিকানা কোন প্রাইভেট কোম্পানিকে দেয়া হয়নি। বঙ্গবন্ধু স্যটেলাইট পরিচালনায় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ১৫ আগস্ট ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত সরকারী মালিকানাধীন কোম্পানী বাংলাদেশ কম্যুনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানী লিমিটেড (বিসিএসসিএল) এর কাছে থাকবে। স্যাটেলাইট এর ট্রান্সপন্ডার ব্যবহারের ক্ষেত্রে শর্তসাপেক্ষ অনুমতি প্রদান করবে বিসিএসসিএল।

ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আহ্বান জানাতে চাই, এই মিথ্যা বক্তব্য প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা চান। দেশের উন্নয়ন এবং এগিয়ে যাওয়া আপনাদের ছোট মানসিকতা কারণে মেনে নিতে পারেন না, বুঝলাম। কিন্তু ডাহা মিথ্যা কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।

বিডি প্রতিদিন/১৩ মে, ২০১৮/ফারজানা

সর্বশেষ খবর