৮ আগস্ট, ২০১৮ ১৫:১৯

প্রাণ উৎসর্গের হুমকি : জাতির সঙ্গে তামাশা

আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন

প্রাণ উৎসর্গের হুমকি : জাতির সঙ্গে তামাশা

জাতির পিতার সরকারের আইনমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন আইনজীবী হিসেবে যতটাই সফল ও খ্যাতিমান, রাজনীতিবিদ হিসেবে ততটাই বিফল ও কক্ষচ্যুত। সম্প্রতি তিনি লন্ডন সফর করে একটি 'বিশেষ বৈঠক' করে দেশে ফিরে বেশ সোচ্চার ও সান্ধ্যকালীন সক্রিয় হয়েছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তাকে খুন করার মুখরোচক আহ্বানও জানিয়েছেন। 

সম্প্রতি সৃষ্ঠ ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে শেষ দিনে হতাশা থেকে মুখরোচক বক্তব্যটি দিয়েছেন বলেই মনে হয়। 

নিঃসন্দেহে তিনি বক্তব্যটি সরকারি দলকে উদ্দেশ্য করে দিয়েছে। এবং তার বিখ্যাত হওয়ার মূল কারিগর, পৃষ্ঠপোষক জাতির পিতার কন্যাকে খোঁচা মেরেই দিয়েছেন। কিন্তু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তাকে হত্যার আহ্বান মহাকালের দেয়ালে প্রতিধ্বনিত হয়ে তার বিশাল দেহের ওপরই আছড়ে পড়েছে। 

গত কয়েকদিন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আবেগ, অনুভূতি, কষ্ট-বেদনা, ক্ষোভকে পুঁজি করে যে সন্ত্রাস, নাশকতা পরিচালিত হয়েছে তার মাস্টার মাইন্ড লন্ডনে তার সাথে বৈঠক করা চরম নেগেটিভ মানসিকতার যুবকটি। 

বাংলাদেশে এটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিল স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবির, বিএনপি ও বামাতিরা। এই সহিংসতার মিডিয়া পার্টনার ছিলেন যারা সেদিন রাতে ডিনারের নামে মোহাম্মদপুর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিলেন। সুতরাং যদি জীবন উৎসর্গ করার মত সাহস আপনার থাকে তাহলে আপনার সহযোগীদের বললেই চাপাতি নিয়ে হাজির হয়ে যাবে নিমিষে। 

যিনি যৌবনে আওয়ামী লীগের এমএনএ হয়ে মুক্তিযুদ্ধকালে ভারতে গমন করেও যুদ্ধে অংশগ্রহণের সাহস দেখাতে পারেননি। ভারত থেকে ভীরু কাপুরুষের মত পাকিস্তান গমন করে আইন ব্যবসায় ব্রতী হয়েছিলেন তিনি জীবন সায়াহ্নে এসে জীবন উৎসর্গ করবেন! হাস্যকর শুধু নয়, জাতির সঙ্গে চরমতম তামাশা। 

তিনি ষাটের দশকে বিলেত থেকে আইনশাস্ত্রে উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে ঢাকায় এসে প্র্যাকটিস শুরু করলে বঙ্গবন্ধুর নজরে আসেন। ব্যক্তিগতভাবে বঙ্গবন্ধু মেধাবীদের প্রতি বিশেষভাবে আকৃষ্ট ছিলেন। তিনি স্বাধীনতার লক্ষ্যকে সামনে রেখে আপামর জনগণকে সংগঠিত করার পাশাপাশি বেশ কিছু মেধাবীকে কাছে টেনে নেন। সেই সময়ে তিনি ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদের প্রকাশ্যে কাছে টেনে পুত্র স্নেহে আওয়ামী লীগে গুরুত্বপূর্ণ স্থান করে দেন। এরও অনেক পূর্ব থেকে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের মেধাবী বাঙালি আমলা মরহুম রুহুল কুদ্দুস, আহমেদ ফজলুর রহমান, শামসুর রহমান জনসন খান, মিলিটারীর কমান্ডার মোয়াজ্জেম, কর্নেল শওকত আলীসহ অফিসার, ক্লার্ক, জেসিও, সিপাহী, স্টুয়ার্ড বিভিন্ন স্তরের দেশপ্রেমিকদের গোপনে তার সংগ্রামে সঙ্গী করে নেন। এদের অনেকেই ঐতিহাসিক আগারতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আসামি হন। 

ড. কামাল ও ব্যারিস্টার মওদুদ তখন ত্রিশের কোটার টগবগে যুবক। বঙ্গবন্ধু পরম স্নেহে তাদের সার্বক্ষণিক কাছে রাখতেন। এমনকি ব্যারিস্টার মওদুদ মাঝে মধ্যে বঙ্গবন্ধুর গাড়িও ড্রাইভ করতেন। তারা প্রেস রিলিজ লিখে বত্রিশ নম্বরে মোহাম্মদ হানিফের সঙ্গে বসে নিজেরা সাইক্লোস্টাইল পর্যন্ত করেছেন। 

১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধু নিজের আসনে উপ-নির্বাচনে কামাল হোসেনকে এমএনএ করে আনেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে কামাল হোসেন সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে যান যুদ্ধ পরিচালনায় সহযোগিতা করার জন্য। তার নিকট বঙ্গবন্ধু বিশেষ কিছু ইন্সট্রাকশনও ছিল। বঙ্গবন্ধু গোপনীয়তা ও কৌশলের স্বার্থে বিভিন্ন ব্যক্তিকে খণ্ড খণ্ড ইন্সট্রাকশন দিয়েছিলেন এবং কন্ট্রাক্ট পয়েন্ট ঠিক করে দিয়েছিলেন। কিন্তু কামাল সাহেব কন্ট্রাক্ট পয়েন্টে না গিয়ে অলৌকিক কারনে ভারতের সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পাকিস্তানে চলে যান। 

দেশের দামাল সন্তানরা যখন শক্র মুক্ত করার জন্য জীবনপণ লড়াইয়ে অবতীর্ণ তখন তিনি পাকিস্তানে গিয়ে আইন পেশা শুরু করেন। কথিত আছে তিনি মুক্তিযুদ্ধের অনেক কৌশল পাকিস্তান আর্মীর কাছে সরবরাহ করেন। 

প্রচার আছে মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের প্রাক্কালে কামাল হোসেনকে তারা গ্রেফতার করে। এ নিয়ে একাধিক মত রয়েছে। কেউ বলেন, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, কেউ বলে তাকে অতি কৌশলে গ্রেফতারের ভান দেখিয়ে বঙ্গবন্ধুর কাছে পুনরায় প্ল্যান্ট করা হয়েছে। সে বিতর্কে না গেলেও তিনি চরম সফল হয়েছেন। 

বঙ্গবন্ধুকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন যে, তিনি তার মুক্তির জন্য লবিং করেছেন এবং তিনি বঙ্গবন্ধুর বিশ^স্ত হওয়ার কারনে কারা নির্যাতিত হয়েছেন। 

১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তান সরকার আন্তর্জাতিক চাপে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করে হিথরোগামী বিশেষ ফ্লাইটে তুলে দেবার সময় ড. কামালকেও একই উড়োজাহাজে তুলে দেয়। ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি তিনি জাতির পিতার সার্বক্ষণিক সঙ্গী থেকে তার বুদ্ধিমত্তা দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে পূর্ণাঙ্গ কনভিন্স করতে সক্ষম হন। 

জাতির পিতা নতুন মন্ত্রিসভা গঠনকালে ৩৫ বছরের কম বয়সী কামাল হোসেনকে আইন মন্ত্রণালয়ের কেবিনেট মন্ত্রী করেন এবং সংবিধান রচনা কমিটির আহ্বায়কের মর্যাদাপূর্ণ পদে অভিষিক্ত করেন। শুরু হয় স্বল্পখ্যাত কামাল হোসেনের জগৎ বিখ্যাত হওয়ার স্বর্ণযাত্রা। এরপর ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু তাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ দেন। 

বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেশ-বিদেশ ঘুরতে থাকেন সদ্য প্রসূত আলোচিত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে। বিশ্বের নামকরা রাষ্ট্রনায়কদের সঙ্গে বাংলাদেশের জাতির পিতার বৈঠকে দুই কর্ণধারের সঙ্গে ড. কামাল হোসেনের ছবি প্রকাশিত হতে থাকে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়। খ্যাতির শিখরে আরোহণ করেন যুবক কামাল হোসেন। 

১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বাকশাল প্রতিষ্ঠিত হলে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যের বাকশাল ডিফার করে মন্ত্রীসভায় যোগদান না করে বিদেশে চলে যান। কামাল হোসেন প্রতি পুত্র স্নেহ বাৎসল্য বঙ্গবন্ধু দীর্ঘদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খালি রাখেন। জুন (আমি ঠিক তারিখটা মনে করতে পারছি না) মাসে দেশে ফিরে কামাল সাহেব পুনরায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। 

পুনরায় দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তিনি কয়েকবার বিদেশ সফর করেন। প্রতিবার অবশ্য রাষ্ট্রপতির পূর্বানুমতি নিয়ে যাতায়াত করতেন। তার ৩নং হেয়ার রোডের সরকারি বাসভবনে ১৯৭২ সাল থেকেই নিয়মিত এক শ্রেণির বিশেষ ব্যক্তির বৈঠক বসত। কিন্তু এবার তিনি দেশে আসার পর ঘনঘন বৈঠক চলে। বিশেষ করে দু'টি দেশের রাষ্ট্রদূত, কর্মকর্তা এবং বঙ্গবন্ধুর সহকর্মী কিছু ব্যক্তি, কিছু সাংবাদিক ঘনঘন মিলিত হতেন ৩নং হেয়ার রোডের বাসায়। 

তিনি আগস্ট মাসেও বিদেশে যান। ফিরে এসে বেশ কিছু গোপন বৈঠক করে ১০ তারিখের দিকে পরিবারসহ আবার চলে যান। এবার তিনি রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুকে জ্ঞাত না করে, প্রথানুযায়ী অনুমোদন না নিয়ে চলে যান। 

বিদেশে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ফোন করে জানান, তিনি আর ফিরবেন না, সরকারে থাকবেন না। বঙ্গবন্ধু তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। অবশেষে বঙ্গবন্ধু ফোন রেখে চিৎকার করে বারবার বলতে থাকেন, 'কামাইল্ল্যা আমার সাথে বেঈমানি করছে।' সেদিন বঙ্গবন্ধুর চিৎকার কর্মরত অনেকে শুনেছেন। তাদের ২/১ জন তাদের সন্তানদেরও বলে গেছেন। 

তারপরের ইতিহাস বেদনার, কষ্টের এবং বিশ্বাসঘাতকতার। ১৫ আগস্ট কালোরাতে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল হোসেন তথন বিলেতের মত নিরাপদ দেশে। একটি প্রেস-কনফারেন্স, প্রেস রিলিজ দেওয়ার মত দায়িত্ববোধ বা সাহসিকতা প্রদর্শন করেননি। তাকে পরবর্তী সরকারে নেওয়া হয়নি, যেমন নেওয়া হয়নি হত্যাকাণ্ডের অন্যতম কুশীলব সচিব মাহবুবুল আলম চাষীকে। 

এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আন্তর্জাতিক সমন্বয়কদের মাহবুবুল আলম চাষী তাকে মন্ত্রী করা ও প্রতিশ্রুতি অর্থ পরিশোধের হুমকি প্রদান করলে তাকে সৌদি আরবে ডেকে নিয়ে সড়ক দুর্ঘটনার নামে হত্যা করা হয়। বহুদিন বেওয়ারিশ হিসেবে তার লাশ সৌদির এক নির্ভৃত হাসপাতালের হিমঘরে পড়ে ছিল। 

কামাল হোসেন সাহেব লন্ডনে অবস্থান করলেও আওয়ামী লীগের কারো সাথে যোগাযোগ রাখতেন না। জাতির পিতার দুই এতিম কন্যার সঙ্গেও সামান্য যোগাযোগ করেননি। কন্যাদের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করলে তিনি নানাভাবে পাস কাটিয়ে যান। বহু অনুরোধ করেও ১৯৭৬ সালে লন্ডনে অনুষ্ঠিত শোকসভায় তাকে আনা যায়নি। 

দেশে জিয়ার সামরিক শাসন অবসানের পর তিনি তার মুরুব্বিদের সাথে যোগাযোগ করে দেশে এসে অনুকূল পরিবেশে আইন ব্যবসা শুরু করেন এবং আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হন। আবার লাইম লাইটে আসেন। 

দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য হলেও মাঠের রাজনীতিতে তাকে দেখা যায়নি। শুধু নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে তিনি একটি গ্রুপ মেইনটেইন করে ভূমিকা রাখতেন। ১৯৮৬ সালে তিনি ক্যান্টনমেন্টে জেনারেলদের সাথে বৈঠক করে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে যেতে বাধ্য করেন। দলের সভাপতি শেখ হাসিনার বিরোধিতা সত্বেও তিনি ও তার গ্রুপের লোকজন আওয়ামী লীগের ৮৬'র নির্বাচনে যেতে বাধ্য করেন। 

তিনি মিরপুর আসনে এসএ খালেকের মত অশিক্ষিত, দল বদলানো ব্যক্তির নিকট পরাজিত হন। এবারও ভাগ্য তাকে ফেভার করেননি। এরশাদের অধীনে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার খায়েশ তার পূরণ হয়নি। 

১৯৯১ সালে তিনি সংসদীয় দলের নেতা হওয়ার মধ্যদিয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার খায়েশ পূরণ করতে দলের মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় অনেক জনপ্রিয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দেননি। তুলনামূলক কম জনপ্রিয় অথচ তার পছন্দের প্রার্থীদের মনোনয়ন দিতে দলকে বাধ্য করেন। তখনও দলের সভাপতি শেখ হাসিনার একক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এবারও ভাগ্য তার সঙ্গে বৈরি আচরণ করে। অপেক্ষাকৃত দুর্বল সাংগঠনিক ভিত্তির বিএনপি শুধু জনপ্রিয় ব্যক্তিদের মনোনয়ন দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে। 

১৯৯১-এ পরাজয়ের পর তিনি আওয়ামী লীগ ছেড়ে দেশের সুশীলদের নিয়ে গণতান্ত্রিক ফোরাম তৈরি করেন। অনেক সুশীল তাকে আশ্বাস্ত করে তার গণতান্ত্রিক ফোরামের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেন। পরে তিনি এই গণতান্ত্রিক ফোরামকে গণফোরাম নাম দিয়ে রাজনৈতকি দল গঠন করেন। কিন্তু সেই দল হালে পানি পায়নি। অদ্যাবধি কেউ জামানত নিয়ে ঘরে ফিরতে পারেনি। দলের কর্মসূচি দিয়ে ঘনঘন বিদেশ সফরের কােণে এক পর্যায়ে একে একে প্রায় সবাই সটকে পড়েন। 

দল গঠনে ব্যর্থ হয়ে আবার তিনি ষড়যন্ত্রের পথে নেমে পড়েন। ১/১১ সৃষ্টিতে যে কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ভূমিকা পালন করেছেন তিনি তাদের অন্যতম। একবার তিনি, একবার ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধানমন্ত্রী হবেন। নানা ছকে এবং জনতার নূন্যতম বিশ্বাস অর্জন করতে না পারায় এবারও ভাগ্য তাকে সহায়তা করেনি। 

অনেক ঘাটের পানি পান করে সম্প্রতি কামাল হোসেন মহোদয় তার পুত্রের বয়সী এক নটোরিয়াস যুবকের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছেন। বেগম জিয়া কারাগারে, ছেলে বিদেশে পলাতক। উপরন্তু ছেলেকে আন্তর্জাতিক মহল কিছুতেই মেনে নিচ্ছে না। এই সুযোগে বিএনপি'র সমর্থন নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার নতুন খোয়ারে মত্ত হয়েছেন। লন্ডনে গিয়ে বৈঠক করে এসেছেন। দেশে এসে রাতের বৈঠক করছেন। মিডিয়ায় বাগাড়ম্বর করছেন। 

কিন্তু এবারও তার অবস্থা একি হবে। কোন বিশ্বাসঘাতককে কেউ বিশ্বাস করে না। যে বঙ্গবন্ধু তাকে ছেলে স্নেহ দিলেন, নেতা, মন্ত্রী সব বানিয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতি দিলেন, সেই বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে যে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে। তিনি কারো নিকটই ঠাঁই পাবেন না। 

ষড়যন্ত্র নয় জনাব হোসেন। জনসমর্থনই রাজনীতি ও ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র পথ। অস্ত্রধরে কেউ ক্ষমতায় আসলে আপনাকে কেন বসাবে? নিজইে বসবে। জীবন সায়াহ্নে আর ষড়যন্ত্র ও পরজীবী না হয়ে জনগণের নিকট যান, জনগন চাইলে আপনি প্রধানমন্ত্রী হতেও পারেন। 

(লেখক- সংসদ সদস্য এবং সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ)

বিডি প্রতিদিন/০৮ আগস্ট ২০১৮/আরাফাত

সর্বশেষ খবর