শুক্রবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

দিনাজপুরে তেজপাতার বাগান করে স্বাবলম্বী কৃষকরা

দিনাজপুরে তেজপাতার বাগান করে স্বাবলম্বী কৃষকরা

অল্প জমিতেই পরিকল্পনা অনুযায়ী বাগান করে বেশ কয়েকজন কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় বোচাগঞ্জ উপজেলায় এবার তেজপাতা গাছের বাগানের প্রতি ঝুঁকছে কৃষকরা। এরই মধ্যে উপজেলার জালগাঁও, আখাপুর, মতিজাপুর, হাট মাধবপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে কৃষকরা তেজপাতার বাগান করছেন।

রকমারী বিভিন্ন খাদ্য তৈরী করতে মসলা হিসেবে তেজপাতা ব্যবহার হওয়ার কারণে এ অঞ্চলসহ দেশে এর চাহিদা রয়েছে ব্যাপক।  দীর্ঘদিন এই গাছ থেকে পাতা মুড়িয়ে বাজারে বিক্রির সম্ভাবনা থাকায় কম খরছে অধিক লাভের সম্ভাবনা থাকে।

বোচাগঞ্জের জালগাঁও গ্রামের বিশিষ্ট কৃষক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রাজ্জাক এক বছরে পূর্বে ৫০ শতক জমিতে তেজপাতার বাগান করেন। সেখানে তিনি প্রায় ৪ শতাধিক গাছ রোপন করেন। এক বছরের মধ্যে সে দুই দফায় প্রায় লক্ষাধিক টাকার পাতা বিক্রি করেছেন। বছরে অন্তত দুই থেকে তিন বার তেজপাতার গাছ থেকে পাতা মুড়ানো যাবে।

ব্যক্তি উদ্যোগে ও সখের বসে অনেকেই বাড়ীর আঙ্গীনায় তেজপাতার গাছ লাগালেও বাণিজ্যিকভাবে তেজপাতার বাগান বোচাগঞ্জ উপজেলায় এটাই প্রথম এবং সবচেয়ে বড় বলে জানা গেছে।

এরই মধ্যে ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রাজ্জাক তেজপাতার বাগানের পাশে প্রায় এক একর জমিতে আরেকটি তেজপাতার বাগান করার পরিকল্পনা নিয়েছেন।

বাগান মালিক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রাজ্জাক জানান, পূর্বে এ জমিতে অন্যান্য ফসল করে ৫ বছরে যে লাভ হত সেখানে তেজপাতার বাগান করে এক বছরে দ্বিগুণ লাভ হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ফসলের চেয়ে তেজপাতার গাছ পরিচর্চা করতে হয় কম।

বোচাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম জানান, একটু উঁচু ডাঙ্গা জমিতে তেজপাতার গাছ লাগাতে হবে। এই অঞ্চলের মাটি তেজপাতা গাছ আবাদের জন্য উপযোগী। এজন্য বোচাগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকদের তেজপাতার গাছ আবাদের জন্য কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

বিডি-প্রতিদিন/২৭ জানুয়ারি, ২০১৫/মাহবুব
 

সর্বশেষ খবর