শিরোনাম
শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা
শুক্রবারের বিশেষ প্রতিবেদন

আলো জ্বালছেন রফিক

আলো জ্বালছেন রফিক

চাঁপাইনবাবগঞ্জের রফিকুল ইসলাম রফিক চা বিক্রেতা হয়েও শিক্ষার আলো ছড়াতে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। চা এবং গরু বিক্রির টাকায় তিনি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন। সেখানে শিক্ষাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করেছেন। রফিকুলের ভাষ্য অনুযায়ী, নিজে লেখাপড়া না জানার যন্ত্রণা ভুলতেই তিনি এ পথ বেছে নিয়েছেন।
অজপাড়াগাঁয়ের কোনো শিশু যেন তার মতো শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হয়, সে জন্য শত অভাব-অনটনের মুখেও তিনি অন্ধকারে আলো জ্বালানোর এ লড়াই করছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে ঝিলিম ইউনিয়নের একটি অবহেলিত গ্রাম ঠাকুর পলশা। এখানকার অধিকাংশ বাসিন্দাই খেটে খাওয়া মানুষ। পেশা কৃষিকাজ ও দিনমজুরি। এমন অজপাড়াগাঁয়েই আলোর মশাল জ্বালিয়েছেন রফিক। তিনি শিক্ষাবঞ্চিত শিশুদের জন্য স্কুল গড়ে নাম দিয়েছেন ‘সোনামণি পাঠশালা’। রফিকের ভাষ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালে চা বিক্রির জমানো কিছু টাকা আর একমাত্র সম্বল গরু বিক্রি করে তিনি চার কাঠা জমি লিজ নিয়ে গড়ে তোলেন ‘সোনামণি পাঠশালা’। তার স্ত্রী জানান, স্বল্প আয়ে তাদের সংসার ঠিকমতো চলে না। দুই ছেলে ও এক মেয়ের ভাগ্যে কখনো কখনো তিন বেলা খাবারই জোটে না। তারপরও স্বামীর আগ্রহ দেখে ছেলেমেয়েকে সঙ্গে নিয়ে পরিবারের সবাই মিলে স্কুলটি তৈরি করতে তাকে সহযোগিতা করেছেন। ২০১১ সালে মাত্র কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে পথচলা ‘সোনামণি পাঠশালা’য় গিয়ে জানা যায়, সে সময় মরিয়ম নামে এক কলেজ ছাত্রী বিনাশ্রমে এই স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। বর্তমানে তিনি নেই। এখন সেখানে শিক্ষকতা করছেন পাশের গ্রামের কলেজ পড়ুয়া শারমিন আকতার, রিনা আকতার, সুলতানা খাতুন এবং আরিফুল ইসলাম। বর্তমানে ৮০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে।

সর্বশেষ খবর