ফলকে রোগবালাই ও রাসায়নিক মুক্ত রেখে স্বাদ ও ফলের আসল রং অক্ষুন্ন রাখতে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি আম চাষে বিপ্লব ঘটাতে পারে। ইতোমধ্যে দিনাজপুরে এ ব্যাগ ব্যবহারের সুফল পাওয়া গেছে। স্থানীয়ভাবে এই প্রযুক্তি অনেক চাষীর মধ্যে আগ্রহের সৃষ্টি করেছে।
বিশেষ ধরনের ব্যাগ দ্বারা গাছে থাকা অবস্থায় ফলকে আবৃত করে রাখাটাই ফ্রুট ব্যাগিং। ফলের একটা নির্দিষ্ট আকারের সময় এই ব্যাগ ব্যবহার করা হয়। এটা ফল সংগ্রহ পর্যন্ত গাছেই লাগানো থাকে। এই ব্যাগটি বিভিন্ন ফলের জন্য বিভিন্ন রং ও আকারের হয়ে থাকে। এদেশে যেসব ফল সহজেই ব্যাগিংয়ের আওতায় এনে সুফল পাওয়া সম্ভব সেগুলো হলো- আম, পেয়ারা, ডালিম, কলা, কাঠাল ইত্যাদি।
২০১৪ সালে এ ধরনের ব্যাগ ব্যবহার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষনা কেন্দ্র সুফল পায়।
এবার দিনাজপুরে প্রথমবারের মত এ প্রযুক্তির সফল গবেষণার জন্য কাজ করছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তরিকুল ইসলাম। তাকে গবেষনায় সহযোগিতা করছেন রিসার্চ সহকারী আতিকুর রহমান।
তিনি ৫০০ ব্যাগ পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এ গবেষণা কাজ পরিচালিত হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ