৯ নভেম্বর, ২০১৫ ১৬:২৮

কুয়েতে 'বিপ্লব ও সংহতি দিবস' উপলক্ষে আলোচনা

মঈন উদ্দিন সরকার সুমন, কুয়েত

কুয়েতে 'বিপ্লব ও সংহতি দিবস' উপলক্ষে আলোচনা

"৭ নভেম্বর বাংলাদেশের জনগণ তাদের আত্মপরিচয় খুঁজে পেয়েছে, ৭ নভেম্বরের মধ্য দিয়েই বাংলার মানুষ পরাধীনতার শেকল থেকে মুক্ত হয়েছে। কুয়েত বিএনপি ও এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে ৭ নভেম্বর জাতীয় ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনায় বক্তারা একথা বলেন। 

শনিবার রাতে কুয়েত সিটিরি রাজধানী হোটেলে কুয়েত বিএনপির সভাপতি প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সম্পাদক আবুল হাসেম এনামের সঞ্চালনায় সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের এ দিনে জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সৈনিক-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমে এসেছিলেন সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে। ৭ নভেম্বরের চেতনা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রেরণার উৎস। এই দিনটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের মানুষের আবেগ ও প্রতিবাদের প্রতিধ্বনি। পুলিশ আজ জাতীয়তাবাদী দলের নেতকর্মীদেরকে জিয়া উদ্যানে প্রবেশে বাধা দেওয়ার মাধ্যমেই প্রমাণিত হয় আওয়ামী লীগ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। 

বক্তারা আরও বলেন, একদলীয় শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। তাই এ দিনটি আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকে যারা দেশের উন্নয়নের বড়াই করেন, এসব কিছুর অবদান হলো জিয়াউর রহমানের। 

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কুয়েত বিএনপির সহ-সভাপতি মাষ্টার নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ মইন উদ্দিন, নাসের মোর্তুজা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আকতারুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির মায়মুন, যুগ্ম সাংগঠনিক আ ন ম তোহা মিলন, কোরআন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সভাপতি হাফেজ নুরুল আলম, প্রচার সম্পাদক আবদুল কাদের, মোশারফ হোসেন, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী, প্রজন্ম দলের সভাপতি জাফর ইকবাল পলাশ, জাকারিয়া আবেদিন প্রমুখ। 

অনুষ্ঠান শেষে মরহুম শহীদ জিয়াউর রহমানসহ দেশের সুখ-শান্তি এবং সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া পরিচালনা করেন ওলামা দলের সভাপতি।

 

বিডি-প্রতিদিন/ ০৯ নভেম্বর, ২০১৫/ রশিদা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর