৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১২:০৯

বাংলাদেশিসহ এশিয়ানদের নিরাপত্তা দাবিতে ৯ কংগ্রেসম্যানের চিঠি

নিউইয়র্ক থেকে এনআরবি নিউজ :

বাংলাদেশিসহ এশিয়ানদের নিরাপত্তা দাবিতে ৯ কংগ্রেসম্যানের চিঠি

নিউইয়র্কে বাংলাদেশিসহ এশিয়ান-আমেরিকানদের ওপর হামলার ঘটনা বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে এহেন পরিস্থিতি অবসানে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন নিউইয়র্কের ৯ কংগ্রেসমেন। 

কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং, কংগ্রেসওম্যান নিদিয়া ভ্যালেস্কুয়েজ, কংগ্রেসম্যান যোসেফ ক্রাউলি, কংগ্রেসম্যান স্টিভ ইসরাইল, কংগ্রেসম্যান হাকিম জেফরি, কংগ্রেসম্যান জেরাল্ড নেদলার, কংগ্রেসম্যান চার্লস র‌্যাঙ্গেল, কংগ্রেসম্যান হোযে সিরানো এবং কংগ্রেসম্যান গ্রেগরি মিক্স সম্মিলিতভাবে গত বৃহস্পতিবার সিটির পুলিশ কমিশনার উইলিয়াম জে ব্রেটন বরাবরে প্রেরিত এক পত্রে এ আহ্বান জানিয়েছেন। 

শুক্রবার কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং বলেন, ‘এশিয়ান-আমেরিকানদের বিরুদ্ধে হামলার ঘটনা আমাকে ব্যথিত করেছে। এ নিয়ে আমি খুবই উদ্বিগ্ন। আমি আশা করছি, আমাদের ওই চিঠি পেয়ে পুলিশ কমিশনার উদঘাটনে সক্ষম হবেন যে, কেন ঘটছে এমন ঘটনা। এহেন গুরুতর অপকর্ম রোধেও যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে আশা করছি।’ 

পত্রে স্বাক্ষরকারী সকলেই ডেমক্র্যাটিক পার্টির সদস্য এবং নিউইয়র্ক সিটি মেয়র বিল ডি ব্লাসিয়োও একই পার্টির। মেয়রই মনোনয়ন দিয়েছেন পুলিশ কমিশনারকে। 

কংগ্রেসওম্যান নিদিয়া ভ্যালেস্কুয়েজ বলেন, ‘নিউইয়র্কের সকল অধিবাসীই নিরাপদ থাকতে চান। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এশিয়ান আমেরিকানদের ওপর হামলার ঘটনা যে হারে বেড়েছে, তা খুবই উদ্বেগের কারণ। এমন পরিস্থিতির অবসানে পুলিশ বিভাগ আন্তরিক অর্থে সোচ্চার হবে বলে আশা করছি। এমন পরিস্থিতির উদ্ভব কেন হয়েছে সে ব্যাপারেও পুলিশকে কাজ করতে হবে, যাতে সমস্যার স্থায়ী সমাধানের উপায় বের করা সহজ হয়।’ 

‘নিউইয়র্ক সিটিতে অপরাধ এবং তা প্রতিরোধ কার্যক্রম’ শিরোনামে প্রকাশিত বার্ষিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০০৮ সালে সিটিতে যত যৌন হামলার ঘটনা ঘটেছিল তার ২.১% এ  ভিকটিম ছিলেন এশিয়ান-আমেরিকানরা। ২০১৪ সালে সে হার বেড়ে ৫.৫% হয়েছে অর্থাৎ ৬ বছরের ব্যবধানে তা দ্বিগুণেরও অধিক হয়েছে। পক্ষান্তরে, সিটিতে হিসপ্যানিকদের সংখ্যা অনেক বাড়লেও যৌন হামলার ভিকটিমের সংখ্যা বাড়েনি। অধিকন্তু কমেছে। এ থেকেই কংগ্রেসম্যানরা বিচলিত বোধ করছেন। চিঠিতে তারা আরও উল্লেখ করেছেন যে, ‘আমরা কোনভাবেই বুঝতে সক্ষম হচ্ছি না, কেন এমন ঘটছে। এর কারণ কি? আমরা এর সমাধানের কোন পথও খুঁজে পাচ্ছি না। তাই আমরা আশা করছি যে, উদ্ভূত পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় এনে পুলিশ খুব দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’ 

পত্রে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘এই সিটির মোট জনসংখ্যার ১৩% হচ্ছেন এশিয়ান-আমেরিকান। অথচ পুলিশ বাহিনীতে এশিয়ান-আমেরিকান অফিসার আর কর্মকর্তার হার হচ্ছে মাত্র ৬.২%। পুলিশে এশিয়ানদের সংখ্যা বাড়ানোর মধ্য দিয়েও এহেন অপরাধ প্রবণতা রোধ করা সহজ হতে পারে।’ 

সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক আচরণ শিকার হয়েছেন দুই বাংলাদেশি, কয়েকজন শিখ, চীনা এবং পাকিস্তানিও হামলার শিকার হয়েছেন। 


বিডি-প্রতিদিন/ ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর