২৬ মার্চ, ২০১৬ ১৫:১১

নিউইয়র্কে স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন

নিউইয়র্ক থেকে এনআরবি নিউজ :

নিউইয়র্কে স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন

স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে মোমবাতি জ্বেলে একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে পাক হায়েনাদের বর্বরতার শিকার শহীদদের স্মরণ করলেন প্রবাসী বাঙালিরা। একইসঙ্গে সংকল্প ব্যক্ত করা হলো ‘একাত্তরের ঘাতকদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত জাগ্রত থাকার।’ দাবি জানানো হলো একাত্তরের ২৫ মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের। গত এক দশক থেকেই এ দাবি আদায়ের জন্যে জাতিসংঘে দেন-দরবার করার কথাও উল্লেখ করা হলো প্রবাসীদের এই সমাবেশ থেকে। 

‘মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃত বিষয়গুলোর ওপর বিতর্ক রোধে ইউরোপের হল্যোকস্ট ডিনাইল আইনের আদলে বাংলাদেশেও আইন চাই’-এ স্লোগান ধরেন সকলে। 

নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে পালকি পার্টি সেন্টারে এই কর্মসূচির আয়োজন করে ‘জেনোসাইড একাত্তর ফাউন্ডেশন।’ সংগঠনের প্রধান বাকসুর সাবেক জিএস ড. প্রদীপ রঞ্জন করের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নিউইয়র্ক চ্যাপ্টার, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ, বঙ্গমাতা পরিষদসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। 

অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন ড. এম এ বাতেন, গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ, জিএইচ আরজু, সরাফ সরকার, আশরাফুজ্জামান, মোর্শেদা জামান, মুজাহিদ আনসারী, ফাহিম রেজা নূর, আব্দুর রহিম বাদশা, স্বীকৃতি বড়ুয়া, নূরে আলম জিকু, সবিতা দাস, জলি কর প্রমুখ। 

২৫ মার্চসহ একাত্তরের ৯ মাসের বর্বরতার অসহায় শিকারসহ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে স্থানীয় সময় ২৫ মার্চ শুক্রবার রাত ৯টায় শুরু হয় এ কর্মসূচি। এ সময় নিউইয়র্কে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষভাবে সম্মান জানানো হয়। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহর পর্যন্ত চলে দেশের গান, কবিতা আবৃত্তি এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আলোচনা। স্থানীয় সময় রাত ১২টা এক মিনিটে গণহত্যায় নিহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটানো হয়। 

 


বিডি-প্রতিদিন/ ২৬ মার্চ, ২০১৬/ রশিদা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর