২৯ এপ্রিল, ২০১৬ ১২:২০

যুক্তরাষ্ট্রে নিহত দম্পতির দুই ছেলে কারাগারে

অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে নিহত দম্পতির দুই ছেলে কারাগারে

সংগৃহীত ছবি

ক্যালিফোর্নিয়ার সান হোসে শহরে গুলিতে নিহত বাংলাদেশি দম্পতি গোলাম রাব্বি ও শামীমা রাব্বির দুই ছেলেকে গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। ২২ বছর বয়সী বড় ভাই হাসিব বিন গোলাম রাব্বি এবং তার ১৭ বছর বয়সী ছোট ভাইকে জামিনঅযোগ্য আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।  খবর: বিডি নিউজ

স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা জানান, সান্তা ক্লারা সিটির মুসলিম কম্যুনিটি অ্যাসোসিয়েশনে শুক্রবার বাদ জুম্মা (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাত আড়াইটা) রাব্বি দম্পতির জানাজা হবে। তাদের দাফন করা হবে পাশের লিভারমোর সিটির ‘ফাইভ পিলার ফার্ম’ কবরস্থানে। কারাবন্দি দুই ছেলেকেও প্যারোলে বাবা-মায়ের জানাজায় অংশ নিতে দেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করছেন এ পরিবারের ঘনিষ্ঠজনরা।

দুজনকেই এ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলেও ছোট ভাই প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় তার নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। তাকে রাখা হয়েছে কিশোর  সংশোধনাগারে।  

বগুড়ার সন্তান গোলাম রাব্বি ১৯৭৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে খ্যাতি অর্জনকারী ‘এমদাদ অ্যান্ড সিতারা খান ফাউন্ডেশনের’ চেয়ারপারসন সিতারা খানের ছোট ভাই গোলাম রাব্বি (৫৯) পেশায় একজন প্রকৌশলী ছিলেন। শামিমা সান হোসের (৫৭) পেশায় হিসাবরক্ষক ছিলেন।

গোলাম রাব্বির সঙ্গে শামীমার বিয়ে হয় ১৯৮২ সালে। বিয়ের পর স্ত্রীকেও বগুড়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যান রাব্বি। সেখানেই তাদের দুই ছেলের জন্ম।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কয়েকদিন ধরে গোলাম রাব্বির কোনো খোঁজ না পেয়ে গত রোববার বিকালে তার কয়েকজন বন্ধু সান হোসের বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে তারা বাড়ির দরজা খোলা পান এবং লন্ড্রি রুমে কাঠের মেঝের ওপর দুজনের গুলিবিদ্ধ লাশ দেখে পুলিশে খবর দেন।

সেখানে একটি চিরকূট পাওয়া যায় যাতে লেখা ছিল- ‘দুঃখিত, আমার প্রথম খুনটি ছিল বিরক্তিকর’।

এছাড়া তদন্ত কর্মকর্তারা ওই বাড়ির দেওয়ালে লেখা আরেকটি বার্তা দেখতে পান। সেখালে লেখা ছিল- ‘তোমার মতো আমি মিথ্যাবাদী হতে পারব না। আমি ওদের (মা-বাবা) অজ্ঞাতে অথবা সম্মতি ব্যতিত কাউকে ভালবাসতে পারব না।’

রাব্বি দম্পতির লাশ যখন পাওয়া যায়, তখন থেকেই তাদের দুই ছেলে নিখোঁজ ছিলেন। দুই দিন পর ২৬ এপ্রিল প্রথমে ছোট ছেলের সন্ধান পায় পুলিশ। তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বড় ছেলে হাসিবকে বুধবার সন্ধ্যায় ট্র্যাসি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সান হোসে পুলিশের মুখপাত্র সার্জেন্ট এনরিক গার্সিয়া বলেন, “ওই দম্পতিকে কয়দিন আগে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে এখনও আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি।” কেন তাদের হত্যা করা হয়েছে, সে বিষয়ে পুলিশের তদন্তের বিস্তারিত তথ্যও পুলিশের পক্ষে থেকে প্রকাশ করা হয়নি।


বিডি-প্রতিদিন/২৯ এপ্রিল ২০১৬/ হিমেল০১

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর