"আমি বিশ বছর কোন প্রকার সাপ্তাহিক বা সরকারি ছুটি কাটাইনি। কঠোর পরিশ্রম করেছি সততার সাথে, মেধা খাটিয়ে কোম্পানির পরিধি বাড়িয়েছি"। এই কথাগুলো কুয়েত প্রবাসী সোহেল মাহমুদের। কুষ্টিয়ার ভেরামারার মরহুম আমীর উদ্দিনের পঞ্চম সন্তান সোহেল ১৯৮৬ সালের এপ্রিল মাসে শ্রমিক ভিসায় কুয়েতে আসেন। ১৯৮৮ সালে পূর্বের কোম্পানি পরিবর্তন করে কুয়েতে অবস্থিত স্বনামধন্য আমেরিকান ফুড কোম্পানির বাসকিন ডিভিশনে সেলসম্যান হিসেবে ভাগ্য পরিবর্তনে নতুন কর্ম শুরু করেন। এই কোম্পানিতে ক্যারিয়ার গড়তে এক প্রকার চ্যালিঞ্জিং গ্রহণ করেন। এই চ্যালেঞ্জ সফল করতে একাধারে বিশ বছর কোন প্রকার সাপ্তাহিক বা সরকারি ছুটি কাটাননি। করেছেন কঠোর পরিশ্রম প্রধান্য দিয়েছেন সততাকে, খাটিয়েছেন নিজ মেধা।
বর্তমানে বাসকিন ডিভিশনে মিসর, ফিলিপিন ও ভারতীয়দের সাথে পাল্লা দিয়ে কাজ করছেন। এই কোম্পানিতে একমাত্র বাংলাদেশি তিনি। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা কাজ করেন। তার দীর্ঘ চাকুরী জীবনে এই কোম্পানিতে একজন নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা হিসেবে গোল্ড মেডেলসহ অসংখ্য সম্মাননায় ভূষিত হন। সাংসারিক জীবনে এক ছেলে এবং এক কন্যা সন্তানের জনক সোহেল মাহমুদ।
বিডি-প্রতিদিন/ ৩০ এপ্রিল, ২০১৬/ রশিদা