১২ জানুয়ারি, ২০১৭ ১১:২২

টরন্টোতে নিরীক্ষাধর্মী রবীন্দ্রগানের আড্ডা

অনলাইন ডেস্ক

টরন্টোতে নিরীক্ষাধর্মী রবীন্দ্রগানের আড্ডা

বাংলা টেলিভিশন কানাডা'র আয়োজনে টরন্টোতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয় 'লোককবি রবীন্দ্রনাথ' শীর্ষক নিরীক্ষাধর্মী রবীন্দ্রগানের আসর। এতে আমন্ত্রিত কন্ঠশিল্পীরা গান করেন এবং নিজেদের গানগুলো নিয়ে কথাও বলেন। শিল্পীরা প্রত্যেকে কীর্তন বা বাউল পর্যায়ের দুটি করে গান গেয়ে শোনান। 

গানগুলির মধ্যে কয়েকটি হল 'গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙামাটির পথ', 'আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে', 'যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে', 'কে বলেছে তোমায় বঁধু এত দুঃখ সইতে', 'মন রে ওরে মন তুমি কোন সাধনার ধন', 'নয় নয় এ মধুর খেলা', 'আমিই শুধু রইনু বাকি' ইত্যাদি। 

বাংলা টিভি'র গানের-আড্ডা সিরিজ অনুষ্ঠানমালার মূখ্য আয়োজক সজীব চৌধুরী সকলকে স্বাগত জানিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। গান গেয়েছেন স্নিগ্ধা চৌধুরী, শর্মিষ্ঠা বসু, সুভাষ দাশ, নন্দিতা গোমস, সুনীল গোমস, মোনালিসা চৌধুরী ও শাহজাহান কামাল। 

এতে নির্বাচিত 'লোককবি রবীন্দ্রনাথ' শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করা হয়। এতে রবীন্দ্রগানে বাউল, কীর্তন ও লোক সুরের প্রভাব মূর্ত হয়ে উঠে। বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতিসেবী হাসান মাহমুদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও বর্তমানে টরন্টোর জর্জব্রাউন কলেজের শিক্ষক অধ্যাপক সুজিত দত্ত, লেখক ও সংস্কৃতিবোদ্ধা আকবর হোসেন এবং ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর বেঙ্গল স্টাডিজের প্রাক্তন সেক্রেটারি ও টরন্টোতে রবীন্দ্রনাথের চিত্রকলার একাধিক প্রদর্শনীর কিউরেটর নিলাদ্রী চাকি। পূর্ব প্রস্তুতির কারণেই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা তথ্য নির্ভর ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠে।

অধ্যাপক সুজিত দত্ত বলেন, রবীন্দ্রনাথ শৈশবেই তার পরিবার থেকে লোকসুরের দীক্ষা পেয়েছিলেন। ওই বয়সেই তিনি রামপ্রসাদী ও বৈষ্ণব পদাবলি শুনেছেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে পিতার সাথে নৌকা ভ্রমণে গিয়ে বৈষ্ণব সাহিত্য পাঠ শেষ করেছিলেন। 

লেখক আকবর হোসেন বলেন, রবীন্দ্রনাথের কাব্য জুড়ে উপনিষদের প্রভাব রয়েছে। ১৮৯০ সালে তিনি যখন পূর্ববঙ্গে জমিদারী দেখাশোনার কাজে যান, তখন তিনি বাংলার 'বাউল ধারণা'র সঙ্গে গভীরভাবে পরিচিত হন এবং বাউল সম্রাট লালন ফকিরের দর্শন দ্বারা প্রভাবিত হন। 

অনুষ্ঠানের ভিডিও চিত্র ধারণ করেছেন জ্যানা হক এবং স্থির চিত্রগ্রহনের দায়িত্বে ছিলেন ফ্লোরা শুচি। তবলা শিল্পী সজীব চৌধুরী পুরো অনুষ্ঠানে সব শিল্পীদের সাথেই তবলা এবং শ্রীখোল সঙ্গত করেন। অতিথিদের অভ্যর্থনা ও আপ্যায়নের দায়িত্ব পালন করেছেন হাফিজ আল আসাদ ও রিয়াজ মাহমুদ জুয়েল।

অনুষ্ঠানটি বাংলা টেলিভিশন কানাডার ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে দর্শকদের জন্য পর্যায়ক্রমে প্রচার করা হবে। 


বিডি প্রতিদিন/১২ জানুয়ারি, ২০১৭/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর