২৫ মার্চ, ২০১৭ ০৩:০৯

অস্ট্রেলিয়া হতে পারে বসবাসের স্থায়ী ঠিকানা

অনলাইন ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়া হতে পারে বসবাসের স্থায়ী ঠিকানা

অস্ট্রেলিয়া সবসময়ই মাইগ্রেশন প্রত্যাশীদের সবচেয়ে পছন্দের দেশ। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জরিপে দেখা যায়, সারা বিশ্বের মানুষদের কাছে বসবাস ও কাজের জন্য AUSTRALIA শহরগুলো সবচেয়ে বেশী প্রিয়। এর মুল কারন শান্তি-শৃংখলা, সামাজিক নিরাপত্তা, পরিবেশ, চাকুরী, খরচ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা ও চিকিৎসার মানের দিক দিয়ে অষ্ট্রেলিয়া সবসময়ই সেরা।
 Australia ভিসা প্রত্যাশিদের প্রথমেই জেনে রাখা দরকার অষ্ট্রেলিয়ান সরকার মুলত ৬ (ছয়)ধরনের ভিসা দিয়ে থাকে। যেমন: Visitor visas, Working and skilled visas, Studying visas, Family and spousal visas, Other visas, Repealed visas (these visas are not available to apply for as main applicant)  এর মধ্যে বাংলাদেশীরা খুব সহজেই সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী অগ্রসর হলে Working and skilled visa জন্য আবেদন করে ভিসা প্রাপ্তির মাধ্যমে পরিবার সহ অষ্ট্রেলিয়ায় কাজ ও বসবাস করার সুযোগ পেতে পারে।

অষ্ট্রেলিয়ায় মাইগ্রেশনের সকল প্রোগ্রামগুলোকে বেশ কিছু সাব-ক্লাসের মাধ্যমে আইডেন্টিফাই করা হয়েছে।

•Subclass 189 Skilled Independent Visa
•Subclass 190 State Nominated Visa
•Subclass 489 Regional Sponsored Visa
•Subclass 485 Temporary Graduate Visa

এছারা বিশেষ কিছু অপেক্ষাকৃত সহজ ক্যাটাগরি হচ্ছে:

•Subclass 457 Employer Sponsored Temporary Visa
•Subclass 186 Employer Nominated Permanent Residence Visa
•Subclass 402 Training and Research Visa
•Subclass 461 New Zealand Family Member Visa

 
Australia Skill Migration and Subclass 457 Visa প্রোগ্রাম হচ্ছে Australia সরকারের সবচেয়ে  জনপ্রিয় প্রোগ্রামগুলোর মধ্যে অন্যতম। পরিবার সহ যেহেতু কাজ ও বসবাস করার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে সুতরাং এই প্রোগ্রামটি হতে পারে সবার পছন্দের।

Subclass 457 ভিসা:

আপনি আপনার গ্র্যাজুয়েশনের বা শিক্ষার উপর নির্ভর করে Subclass 457 এর অধীনে আবেদন করেও আপনার স্বপ্ন পূরন করতে পারেন। সাধারনত Medical Administrator, IT, Registered Nurse, Accountant, Architect, Engineer, Forester, Teacher, Banker, Sonographer, Dentist, Physiotherapist, Midwife সহ আরোও অনেক পেশাজীবিরা স্বল্প সময়ে Australia পরিবারসহ বসবাস ও কাজ করার অনুমতি পেতে পারেন এই ক্যাটাগরিতে।নিশ্চিত জব সহ স্বল্প সময়ে দীর্ঘমেয়াদী ভিসা পাওয়া যায় বলে এই প্রোগ্রামের রয়েছে প্রচুর চাহিদা।

প্রোগ্রামটির উল্লেখযোগ্য সুবিধাজনক দিক হচ্ছে:

Job সহ।
মিনিমাম 4.5 আই.ই.এল.টি.এস স্কোর।
নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা।
পরিবার সহ যাবার সুযোগ।
স্বল্প সময়ে প্রসেস করা যায়।
যিনি আগে আবেদন করবেন তিনি আগে বিবেচিত হবেন।


Australia Skilled Migration visa:

পেশাসমুহ:
সকল প্রকার Engineer, IT Professional, Accountant, Auditor, Architect,  Dentist, Pharmacist, Therapist, Radiologist, Nurse, Sonographer, Pathologist,  Electrician, Carpenter, Cook, Plumber, Welder, Surveyor, Fitter ইত্যাদি পেশার লোকজন তাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করতে পারবে।  
এই প্রোগ্রামে আবেদন করার নুন্যতম যোগ্যতা সমুহ হচ্ছে:-
বয়স সীমা:
Australia Skilled Migration visa প্রোগ্রামে আবেদন করবার জন্য প্রার্থীকে অবশ্যই ৫৫ বছরের নিচে থাকতে হবে।প্রথমে আপনাকে Expression of Interest (EOI) submit করতে হবে পরে, invitation আসলে main application lodge করতে পারবেন।

শিক্ষাগত যোগ্যতা:

আপনার যদি ৪ বছরের অনার্স অথবা সমমানের ডিগ্রী অথবা ০৩ বছরের অনার্স এবং এক বছরের মাষ্টার্স থাকে তবেই আপনি আবেদন করতে পারবেন।

কাজের অভিজ্ঞতা:

প্রথমে মনে রাখতে হবে যে, Australia-র বাইরের যেকোন ডিগ্রী কে Australia-র সমমানের করার জন্য প্রার্থীকে ঐ একই ফিল্ডে minimum 3 years (ক্ষেত্র বিশেষে দুই বছর) কাজের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন।

ইংরেজী জ্ঞান:
প্রার্থীকে অবশ্যই IELTS (General অথবা Academic version) এর প্রতিটি module-এ আলাদা আলাদা করে ৬.০+ স্কোর করতে হবে। কোনো প্রার্থী যদি প্রতিটি module-এ আলাদা আলাদা করে ৭.০+ স্কোর করতে পারেন, সেক্ষেত্রে তিনি আবেদন করার সাথে আরো ১০ পয়েন্ট পাবেন।

এছারা Business Migration/Entrepreneur Program:

Subclass 188 Business & Innovation (Provinsional) Visa
Subclass 888 Business & Innovation (Permanent) Visa.

Australia মাইগ্রেশনের একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে (Permanent Residency) ভিসা নিয়ে আগমনের সাথে সাথে আপনার সন্তানরা কিন্তু প্রতি মাসে সোশ্যাল বেনিফিট পাওয়া শুরু করবে। আর সবচেয়ে, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলে Australian ফ্রী health benefits for all of your family members. যা কিন্তু USA-তে নেই। সুতরাং আর দেরী কেন, আপনার যোগ্যতা থাকলে এখনই আবেদন করে গ্রহন করুন অষ্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব।

বাংলাদেশ থেকে যে কয়েকজন ইমিগ্রেশন আইনজীবী অত্যন্ত দক্ষতা, সততা ও পেশাদারিত্বের সাথে মাইগ্রেশন নিয়ে কাজ করছেন তাদের মধ্যে একবারেরই শীর্ষে অবস্থান করছেন বিশিষ্ট কলাম লেখক, টিভি ব্যক্তিত্ব ও দৈনিক আজকের অগ্রবাণী পত্রিকার প্রধান সম্পাদক, আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক আইন বিশেষজ্ঞ  এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ (রাজু) ।ওয়ার্ল্ড ওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্ট লিমিটেডের কর্নধার ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ (রাজু) সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন যে, আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারত এমনকি শ্রীলংকা থেকেও প্রতি বছর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রচুর লোকজন মাইগ্রেশন হচ্ছে।প্রতি বছর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হতে প্রচুর গ্র্যাজুয়েট বের হয় কিন্তু শুধুমাত্র IELTS পরীক্ষা ভীতির কারনে বাংলাদেশীরা আরোও বেশী যোগ্যতা থাকা সত্বেও অষ্ট্রেলিয়া যেতে পারছে না। তিনি তরুনদের প্রতি বিশেষ করে যারা উন্নত দেশে বসবাস করতে আগ্রহী তাদের প্রতি আহবান জানান যে, নিজের যোগ্যতার প্রতি সুবিচার করুন এবং আস্থা রাখুন । সঠিক সময়ে সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরন করলে অষ্ট্রেলিয়া খুব দূরের স্বপ্ন নয়।
অষ্ট্রেলিয়ায় অভিবাসন বিষয়ে আরো তথ্য জানতে আন্তর্জাতিক অভিবাসনবিষয়ক আইনজীবী, ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ রাজুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত পাঠাতে পারেন এই ই-মেইল ঠিকানায় [email protected] এ ছাড়া যোগাযোগ করতে পারেন হোয়াটসঅ্যাপ অথবা ভাইবারে +60143300639 নম্বরে। এ ছাড়া ভিজিট করতে পারেন www.wwbmc.com. ওয়েবসাইটে।
ঢাকার উত্তরায় ৭ নম্বর সেক্টরের ৫১ সোনারগাঁও জনপথে অবস্থিত খান টাওয়ারে ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন লিমিটেডের অফিসেও খোঁজ নিতে পারেন। প্রাথমিক তথ্যর জন্য কথা বলতে পারেন 01966041555, 01993843340।

বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর