৩০ মার্চ, ২০১৭ ১৭:৫১

বাংলাদেশকে তুর্কি অর্থমন্ত্রী, সেনা ও নৌ প্রধানের শুভেচ্ছা

কূটনৈতিক প্রতিবেদক:

বাংলাদেশকে তুর্কি অর্থমন্ত্রী, সেনা ও নৌ প্রধানের শুভেচ্ছা

স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তুরস্কের অর্থমন্ত্রী, সেনাবাহিনী প্রধান ও নৌবাহিনী প্রধান। আঙ্কারার বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে গত বধুবার এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে তারা এ শুভেচ্ছা জানান।

কয়েকদিন ধরে উৎসব মূখর আবহে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস, আঙ্কারাতে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৪৬তম বার্ষিকী ও জাতীয় দিবস উদযাপন করে।

দূতাবাস জানিয়েছে, স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রদূত এম. আল্লামা সিদ্দীকী’র নেতৃত্বে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরতে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় রাষ্ট্রপ্রতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী’র বাণী পাঠ করা হয়। পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মত্যাগকারী সকল শহীদ’দের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

বুধবার সন্ধ্যায় আঙ্কারাস্থ সুইস হোটেলে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের অর্থমন্ত্রী নেসি আগবাল। তুরস্কের সেনাবাহিনীর প্রধান এবং নৌবাহিনীর প্রধান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, সামরিক বিভাগের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতগণ, কূটনৈতিক কোরের সদস্যবৃন্দ, ব্যবসায়ি প্রতিনিধি, শিক্ষাবীদ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সদস্যগণ এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীরা উক্ত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন।

উক্ত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত তার সংক্ষিপ্ত সূচনা বক্তব্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন এবং বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব’র বিষয়টিকেও রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথি তুর্কি অর্থমন্ত্রী নেসি আগবাল তার বক্তৃতায়, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং বাংলাদেশের জনগণকে স্বাগতিক রাষ্ট্র, সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপণ করেন। তিনি বাংলাদেশ এবং তুরস্ক ভাতৃপ্রতিম এ দু’দেশের মধ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্ক ও সহযোগিতা বিশেষতঃ বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা, খেলাধূলা, সাংস্কৃতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরো জোরদার হবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশের ৪৬তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস স্মরণে বাংলাদেশ দূতবাস, আঙ্কারা প্রথমবারের মতো ‘এমার্জিং বাংলাদেশ বেকন্স’ শীর্ষক বিশেষ প্রকাশনা প্রকাশ করেছে। তুরস্কের জনসাধারণের কাছে বাংলাদেশকে সার্বিকভাবে তুলে ধরতে উক্ত প্রকাশনাটি ইংরেজি এবং তুর্কী উভয় ভাষায় মুদ্রণ করা হয়। উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে বিতরণের পূর্বে প্রধান অতিথি প্রকাশনাটির মোড়ক উন্মোচন করেন।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর