২৫ এপ্রিল, ২০১৭ ২২:৩২

অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন

অনলাইন ডেস্ক

অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে কানাডার অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন ১৭ই এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করেছে। 

কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের  হাইকমিশনার  মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে  বাংলাদেশ হাই কমিশন কার্যালয়ে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় প্রথমেই ঢাকা থেকে প্রেরিত রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করে শোনান দূতাবাসের মিনিস্টার নাইম উদ্দিন আহমেদ। এরপর প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান প্রথম সচিব (পাসপোর্ট ও ভিসা) মোঃ সাখাওয়াত হোসেন।

এর পর “মুজিবনগর সরকার ও মুক্তিযুদ্ধ” শিরোনামে এক গবেষণালব্ধ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রথম সচিব আলাউদ্দিন ভুঁইয়া। নাতিদীর্ঘ এ প্রবন্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি করে গঠিত প্রথম বাংলাদেশ সরকার তথা মুজিবনগর সরকারের মুক্তিযুদ্ধকালীন ঐতিহাসিক ভূমিকার বিবরণ তুলে ধরেন। 

এ প্রবন্ধে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর দিনগুলো থেকে  ক্রমানুসারে বিভিন্ন ঘটনা এবং মুজিবনগর সরকারের কার্যক্রম ও বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তাঁদের ত্যাগ-তিতীক্ষার চিত্র উপস্থাপিত হয়।

আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন নবীন প্রজন্মের প্রতিনিধি ও কানাডার ফেডারেল সরকারের শ্রম মন্ত্রীর দপ্তরের অর্থনীতিবিদ নাসিম সাইদী; বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাসুদ সিদ্দিকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মুহিবুর রহমান, প্রবীন মুক্তিযোদ্ধা ও অটোয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক ওমর সেলিম শের, কানাডা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রকৌশলী সৈয়দ আব্দুল গফ্ফার এবং কানাডা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান প্রিন্স। বক্তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনার আলোকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী পদক্ষেপসমূহের, বিশেষতঃ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিশীলতায় বর্তমান সরকারের অবদানের ভূয়সী প্রসংশা করেন। 

সভাপতির বক্তব্যে কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের  হাই কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, মুজিবনগর দিবস বাংলাদেশ ও বাঙালীর জীবনের এক চিরস্মরণীয় দিন, কেননা এই দিনেই শপথ নেয় প্রথম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, যার সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সহযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

সভাপতির বক্তব্যের পর মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ এবং ’৭৫-এর কালরাতে শাহাদাৎ বরণকারী জাতির জনক ও তাঁর শহীদ পরিবারসদস্যগণের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ পরিচালনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উত্তরোত্তর সাফল্য ও বাংলাদেশের সর্বাঙ্গীন কল্যাণ প্রার্থণা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন দূতাবাসের সহকারী কন্সুলার কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন দূতাবাসের প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) দেওয়ান মাহমুদ। সমন্বয় ও ব্যবস্থাপনায় প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান আলাউদ্দিন ভুঁইয়া।
 
অটোয়া, মন্ট্রিয়েল এবং টরন্টো থেকে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ বাংলাদেশ দূতাবাসের কূটনীতিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।

বিডি প্রতিদিন/২৫ এপ্রিল, ২০১৭/ ই জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর