২৪ মে, ২০১৭ ১৫:৪৯

বার্সেলোনা শহরে বৈশাখী মেলা

দবির তালুকদার, স্পেন

বার্সেলোনা শহরে বৈশাখী মেলা

স্পেনের বার্সেলোনায় বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী উৎসব বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শহরের প্রাণকেন্দ্র প্লাসা মাকবায় আসোসিয়াসিয়ন কুলতুরাল ই উমানিতারিয়া দে বাংলাদেশ এন কাতালোনিয়ার উদ্যোগে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলার সার্বিক সহযোগিতায় ছিল বার্সেলোনার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। 

স্পেনের বার্সেলোনাসহ বিভিন্ন শহর থেকে রংবেরঙের বৈশাখী সাজপোশাকে জড়ো হওয়া নারী, পুরুষ ও শিশুদের উপস্থিতিতে মেলাটি হয়ে ওঠে এক চিলতে বাংলাদেশ। 

গত শনিবার বিকেল ৪টায় বর্ণাঢ্য র‍্যালির মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত মেলা মঞ্চে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মুখরিত ছিল। বিকেল ৫টার পর থেকে জমে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। দেশীয় পণ্য ও খাবারে সজ্জিত স্টলগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। নানান স্বাদের ঐতিহ্যময় খাবারের স্বাদ উপভোগ করতে ভিড় করতে দেখা গেছে স্থানীয় স্প্যানিশদেরকেও। হরেক রকমের পিঠাপুলি, ফুচকা, চটপটি, ঝালমুড়ি, বিরিয়ানি, কাবাব, সমুচা-সিঙ্গারা, ঝাল চানাচুর, হালুয়া ছাড়াও ছিল বাংলার ঐতিহ্যময় পান-সুপারি।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মাহারুল ইসলাম মিন্টুর সভাপতিত্বে মেলায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের বার্সেলোনার কনস্যুলার সিনিয়র রামন পেদ্রো, জেনেরালিদাদ দে কাতালুনিয়ার ইমিগ্রেশন সেক্রেটারি ওরিওল আমারোচ, বার্সেলোনা সিটি করপোরেশনের সাবেক কমিশনার হোমা জামসেদ, পাপেলেস পারা তোদোর (সবার জন্য বৈধতার কাগজ) আন্দোলনের এনরিকে মোসকিয়েরদাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

প্রধান উপদেষ্টা আলাউদ্দিন হক নেসা, সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক খানসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকের তত্ত্বাবধানে মেলা পরিচালিত হয়। 

মেলার শোভাযাত্রা ও শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার তত্ত্বাবধানে ছিল মহিলা সমিতি বার্সেলোনা। শিল্পীদের সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় মেলা। বাংলাদেশ থেকে আসা কণ্ঠশিল্পী মামুন ও মৌটুসির পাশাপাশি স্থানীয় শিল্পী জিনাত, দিবা, শুভ, শাহ ইমরান, ওয়াসি, মৌসুমী, মুন্না, তন্ময়সহ অন্যন্য শিল্পীদের কণ্ঠে মন মাতানো গান উপভোগ করেন সহস্রাধিক দর্শক। 

অনুষ্ঠানমালায় ছিল শিশুদের নাচ, ফ্যাশন শো। অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় ছিলেন মেজবাহ-উল-চৌধুরী, কয়েস খান, অনামিকা দেব, মিশু ও তানিয়া আক্তার।

মেলা শেষে অনুষ্ঠানের সভাপতি মাহারুল ইসলাম মিন্টু বলেন, প্রবাসের মাটিতে বৈশাখী মেলায় সহযোগিতা করার জন্য কমিউনিটির সকলকে ধন্যবাদ। প্রবাসের বাঙালি প্রজন্ম যাতে এই বৈশাখী মেলার মাধ্যমে আমাদের দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হয়ে ওঠতে পারে সেই উদ্দেশ্যেই এই প্রচেষ্টা।


বিডি প্রতিদিন/২৪ মে, ২০১৭/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর