শিরোনাম
১৭ অক্টোবর, ২০১৭ ০৯:৩৫

রোহিঙ্গা ইস্যুর স্থায়ী সমাধানে যথাযথ পদক্ষেপ আবেদন

এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক থেকে :

রোহিঙ্গা ইস্যুর স্থায়ী সমাধানে যথাযথ পদক্ষেপ আবেদন

রোহিঙ্গারা জাতিগত অধিকার নিশ্চিতের মধ্য দিয়ে নিজ দেশে ফিরতে পারে-এমন একটি পরিবেশ তৈরীর জন্যে আন্তর্জাতিক মহলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘে মানবতা বিষয়ক সমন্বয়কারি অফিস (UN Office for the Coordination of Humanitarian Affairs (OCHA) তথা ওচাহ।আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (International Organization for Migration (IOM) এবং জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক হাই কমিশনার।

সোমবার এই ৩ সস্থার প্রধান এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষে আন্তর্জাতিক মহলের আন্তরিক উদ্যোগ প্রত্যাশা করছি। বিশেষ করে, আসছে ২৩ অক্টোবর এ ইস্যুতে জেনেভায় যে বৈঠক হবার কথা, তার আগেই যেন বিশ্ব বিবেক সুস্পষ্ট একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণে সক্ষম হয়। নিরাপদে আপন বাসভবনে ফিরে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে সক্ষম হন সকল রোহিঙ্গা-এমন একটি স্থায়ী পন্থা অবলম্বনে সংশ্লিষ্ট সকলকে এক্ষুণি মনোযোগী হতে হবে।’
উল্লেখ্য, কুয়েত এবং ইউরোপিয় ইউনিয়নের সহযোগিতায় ওচাহ, আইওএম এবং ইউএনএইচ সিআরের সম্মিলিত উদ্যোগে মন্ত্রী পর্যায়ের এই বৈঠকে রোহিঙ্গা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের আলোচনা হবার কথা। (It announced that the ministerial-level pledging conference, set to be held in Geneva on 23 October, organized by OCHA, IOM and UNHCR and co-hosted by the European Union and Kuwait, will provide Governments an opportunity to show their solidarity and share the burden and responsibility.)
এই ৩ সংস্থার প্রধান ফিলিপো গ্র্যান্ডি, মার্ক লোওকোক এবং উইলিয়াম ল্যাসি সুইং বিবৃতিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন যে, ‘এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে মিয়ানমার থেকে এবং এর সমাধানও হতে হবে মিয়ানমারেই।’ (“The origins and, thus, the solutions to this crisis lie in Myanmar,” added the UN High Commission for Refugees, Filippo Grandi, the UN aid chief, Mark Lowcock, the Director General, of IOM, William Lacy Swing.)।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশের দিন তথা ২৫ আগস্ট থেকে প্রতিদিনই হাজার হাজার রোহিঙ্গা প্রাণের ভয়ে নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে। মিয়ানমার বাহিনীর বর্বরোচিত আচরণে রোহিঙ্গারা মানবিক বিপর্যয়ের শিকার হয়েছেন। ভিটেমাটি ছেড়ে আসা প্রায় ৬ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণ মানবিকতার এক নজীরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, এজন্যে সর্ব মহল থেকেই বাংলাদেশের প্রশংসা উচ্চারিত হচ্ছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শরনার্থীদের সেবায় দিন-রাত কাজ করছে সরকারের বিভিন্ন এজেন্সী এবং বেসরকারী সাহায্য-সংস্থা ও সেবামূলক সংগঠনগুলো। চোখে না দেখলে এমন মানবিকতার গভীরতা আঁঁচ করা কঠিন। তবে গৃহত্যাগে বাধ্য হওয়া এসব মানুষের এ বিপদে আরো বেশী সহায়তা প্রয়োজন এবং আন্তর্জাতিক মহলকে উদারচিত্তে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর বিশেষ প্রয়োজন।’

বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর