১৪ ডিসেম্বর, ২০১৭ ২১:১৮

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মালয়েশিয়া ডিজি ইমিগ্রেশনের বৈঠক

জহিরুল ইসলাম হিরন, মালয়েশিয়া:

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মালয়েশিয়া ডিজি ইমিগ্রেশনের বৈঠক

মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহা. শহিদুল ইসলাম সঙ্গে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি মোস্তাফার আলী জরুরি বৈঠক করেছেন। আজ রাষ্ট্রদূতের অফিস কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।  ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের অবৈধ অভিবাসীরা তিনটি ভেন্ডরে দূতাবাসের মাধ্যমে নিবন্ধিত হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন ডিজি ইমিগ্রেশন।  

ডিজি ইমিগ্রেশন বলেন, চলমান রি-হিয়ারিংয়ের আওতায় মালয়েশিয়ায় বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী নিবন্ধিত হওয়ায় প্রশংসা করেছেন। এর পরেও যারা নিবন্ধন করেননি, কালক্ষেপন না করে দ্রুত নিবন্ধিত হওয়ার আহবান জানিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া হিউম্যান ট্রাফিকিং বা মানব পাচার রোধে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার কথাও উঠে আসে বৈঠকে।  বৈঠক শেষে ডিজি মহাপরিচালক দাতুকে সেরি মোস্তাফার আলী দূতাবাসের কন্স্যুলার সেবা পরিদর্শন করেন এবং ভূয়সী প্রশংসা করেন।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দূতাবাসের ডিফেন্স উইং প্রধান এয়ার কমডোর মো. হুমায়ূন কবির, দূতালয় প্রধান ওয়াহিদা আহমেদ, শ্রম কাউন্সেলর মো. সায়েদুল ইসলাম, মিনিষ্টার রইস হাসান সরোয়ার, ফার্ষ্টসেক্রেটারি এমএসকে শাহীন, কমার্শিয়াল উইং প্রধান ধনন্জয় কুমার দাস, ফার্ষ্ট সেক্রেটারি শ্রম মো. হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল, প্রথম সচিব পাসপোর্ট ও ভিসা মো. মশিউর রহমান তালুকদার, ফার্ষ্ট সেক্রেটারি তাহমিনা ইয়াছমিন, ২য় সচিব শ্রম মো. ফরিদ আহমদসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা।

বৈঠক শেষে এ বিষয়ে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের হাই কমিশনার মুহা. শহিদুল ইসলাম বলেন, মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের কাজের সম্ভাবনা ও সমস্যা বিষয়ে এবং দু'দেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ডিজি ইমিগ্রেশন নিজে এসেছেন দূতাবাসে। তারাও চান মালয়েশিয়ায় যাতে করে বাংলাদেশিরা অবৈধ ভাবে বসবাস না করে। দূতাবাস বারবার বৈধ হওয়ার জন্য তাগিদ দিয়ে আসছে। 
রাষ্ট্রদূত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, মিশন সবসময় শ্রমিক বান্ধব। ই-কার্ড ও মাই-ইজির মাধ্যমে যারা নিবন্ধিত হয়েছেন যা সর্বমোট আবেদনের যথাক্রমে ৫৭% এবং ৮৯% বাংলাদেশিদের এই অভূত পূর্ব সাড়ার উচ্ছসিত প্রশংসা করেন এ কর্মকর্তা এবং উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতার এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। শ্রমিকদের সেবা নিশ্চিত করতে প্রত্যেকটি প্রদেশে দেওয়া হচ্ছে কন্স্যুলার সেবা। যারা বৈধ হওয়ার জন্য রি-হিয়ারিং অথবা ই-কার্ড করেছেন, তাদের সঠিক কাগজপত্র নিয়ে দূতাবাসে আসলে দ্রুত সময়ে পাসপোর্ট অথবা কন্স্যুলার সেবা দিতে সকল কর্মকর্তা প্রস্তুত রয়েছেন। কিন্তু বৈধ হওয়ার জন্য অনেকে দূতাবাসের পরামর্শ না নিয়ে দালালদের খপ্পরে পড়েছেন তারাই সমস্যায় পড়ছেন।  অনেকেই হাইকমিশন পর্যন্ত আসতে চান না। যারা এখনও নিবন্ধিত হননি দূতাবাসের পরামর্শে বৈধ কোম্পানির মাধ্যমে মাই-ইজি, বক্তি-মেঘা ও ইমানের মাধ্যমে দ্রুত নিবন্ধন শেষ করার আহবান জানিয়েছেন তিনি।

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর