১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ১১:৫৩

ট্রাম্পের কারণে আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ-অপচয় বাড়ছে

এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক থেকে :

ট্রাম্পের কারণে আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ-অপচয় বাড়ছে

সন্ত্রাস দমন অথবা অন্য কোন মানবিক দায়িত্ব পালনে বিদেশে অবস্থানরত মার্কিন সৈন্যদের জন্য যে অর্থ ব্যয় হচ্ছে, তা দিয়ে তেমন সফলতা দেখা যাচ্ছে না। এর চেয়ে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে ৮ গুন কম অর্থ ব্যয় করে ভালো রেজাল্ট পাওয়া গেছে। এ তথ্য প্রকাশ করেছে মার্কিন কংগ্রেসে স্বাধীন একটি সংস্থা ‘ইউএস গভর্ণমেন্ট একাউন্টিবিলিটি অফিস’। ২০১৯ অর্থ বছরের বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে চলতি বাজেটের চেয়ে ৭% বেশী বরাদ্দ করার পরিপ্রেক্ষিতে এই পর্যালোচনা উপস্থাপন করা হলো।

উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আগ্রহে এবারও প্রস্তাবিত বাজেটে জাতিসংঘ কার্যক্রমে বরাদ্দ কমিয়ে দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য নীতির সাথে জাতিসংঘ একমত পোষণ না করায় ক্ষুব্ধ ট্রাম্প জাতিসংঘের অনুদানও বন্ধের হুমকি দিয়েছেন। জাতিসংঘকে বিশ্বের জন্যে ‘বোঝা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন ট্রাম্প এবং তার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেমস মেটিস।
ট্রাম্পের এহেন মনোভাবের কঠোর সমালোচনা করে ‘ইউএস গভর্নমেন্ট একাউন্টিবিলিটি অফিস’ বলেছে, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের বাজেট কমিয়ে ট্রাম্প শুধু যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থকেই খর্ব করেননি, আমেরিকান ট্যাক্স-প্রদানকারিদের সাথেও ধাপ্পাবাজি করছেন।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের জন্যে ২০১৭ সালের বাজেটেও যুক্তরাষ্ট্র ২৫% কন্ট্রিবিউট করেছে। সারাবিশ্বে ৯৫ হাজার ৫৪৪ জন সৈন্য, ৫০০৪ জন আন্তর্জাতিক অফিসার, ১০১৪৯ জন স্থানীয় অফিসার, জাতিসংঘের স্বেচ্ছাসেবক ১৫৯৭জন শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করছেন।
কংগ্রেসনাল বাজেট অফিসের তথ্য অনুযায়ী, একমাত্র সেন্টাল আফ্রিকান রিপাবলিকেই শান্তিরক্ষা মিশনের ৩  বছরের বাজেট ২.৪ বিলিয়ন ডলার। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে ৭০০ মিলিয়ন ডলার। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের পরিবর্তে সেন্ট্রাল আফ্রিকার দেশসমূহের দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে মার্কিন সৈন্য পাঠানো হচ্ছে। এজন্যে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় হবে কমপক্ষে ৫.৭ বিলিয়ন ডলার।

বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর