১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ২২:৪৪

বদলে যাবে চিরচেনা নাজমা

কাতার প্রতিনিধি

বদলে যাবে চিরচেনা নাজমা

কাতারের রাজধানী দোহার প্রাণকেন্দ্র এবং সবচেয়ে ঘনবসতি ও কোলাহলমুখর এলাকা নাজমা। আর এখানে অবস্থিত কাতারের পুরনো জিনিসপত্র কেনাবেচার হাট 'সুক হারাজ'। এই বাজারে কেনাকাটা করতে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে আসেন। বিশেষ করে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে তিল ধারণের জায়গা থাকে না এখানে মার্কেটে।

এছাড়া পুরনো ও নতুন মালামাল নিয়ে সুক হারাজে প্রতিদিন অসংখ্য ছোট বড় পিকআপ ও ট্রাক আসা-যাওয়া করে। নাজমার সরু সড়কে এসব বড় যানবাহনের কারণে সকাল-সন্ধ্যা ভিড় লেগে থাকে। এর প্রভাব পড়ে নাজমার আশেপাশের এলাকাগুলোতেও। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা এবং যানজট নিরসনে দোহা থেকে দূরে নতুন সুক হারাজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ।  

ফলে নাজমায় অবস্থিত কাতারের অন্যতম বৃহৎ ও প্রাচীন বাজার এই সুক হারাজের আয়ু শেষ হতে চলেছে। কারণ, ওয়াকরায় বারওয়া ভিলেজের বিপরীত দিকে নির্মাণাধীন নতুন সুক হারাজের কাজের ৪৫ ভাগ শেষ হয়েছে। বাক  অর্ধেক শেষ হলে নাজমা থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে সুক হারাজ।

চলতি বছরের শেষের দিকে নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হবে নতুন সুক হারাজের। এটি তৈরিতে ব্যয় হচ্ছে ২১৫  মিলিয়ন কাতারি রিয়াল। সর্বমোট ৩৫ হাজার বর্গমিটার জায়গাজুড়ে পরিকল্পিত নকশায় নির্মাণাধীন নতুন সুক হারাজে রয়েছে ৩২৫টি দোকান। এই বাজারে যারা কেনাবেচা করতে আসবেন, তাদের যানবাহন রাখার জন্য রয়েছে ৯০০ পার্কিং লট। এক দরজাওয়ালা প্রতিটি দোকানের আয়তন ধরা হয়েছে ৬০ বর্গমিটার।

নাজমায় সুক হারাজে কর্মরত রয়েছে হাজার হাজার বাংলাদেশি কর্মী। এদের কেন্দ্র করে নাজমায় গড়ে উঠেছে বাংলাদেশি রেস্তোরাঁ, ট্রাভেল এজেন্সিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। তবে নতুন সুক হারাজ খুলে দেওয়া হলে এদের সরিয়ে নেওয়া হবে সেখানে। ফলে নাজমার চিরচেনা কোলাহলমুখর পরিবেশ তখন পুরোপুরি বদলে যাবে।

বিডি প্রতিদিন/১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর