১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০৯:৪৯

ইতালিতে পরিত্যক্ত দুই স্থায়ী শহীদ মিনার, সংস্কারের উদ্যোগ নেই

এমডি রিয়াজ হোসেন, ইতালি (রোম):

ইতালিতে পরিত্যক্ত দুই স্থায়ী শহীদ মিনার, সংস্কারের উদ্যোগ নেই

দেশের মতো প্রবাসেও উদযাপন করা হয় মহান মাতৃভাষা দিবস। ইউরোপের দেশগুলোও পিছিয়ে নেই এ থেকে। প্রতি বছরই যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয় ভাষা দিবস। ইউরোপিয়ান দেশগুলির মধ্যে ইউকে‘র পর প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মিত হয় ইতালিতে। কিন্তু সঠিক পরিচর্যা ও তদারকির অভাবে ওই ২টি শহীদ মিনারই এখন পরিত্যক্ত।

অ্যাড্রিয়াটিক সাগরের পাড়ে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বারিতে ২০১০ সালে ইতালিতে স্থায়ীভাবে প্রথম শহীদ মিনার নির্মিত হয়। আর ২০১১ সালে রোমের পারিওলিতে লারগো বাংলাদেশ বা বাংলাদেশ চত্বরের পাশে নির্মিত হয় দ্বিতীয় স্থায়ী শহীদ মিনার।

বারি'র এই শহীদ মিনার ২০০৮ সালে নির্মাণের অনুমতি মেলে এবং বরাদ্দকৃত স্থান লারগো দু যোন পার্কে দুই বছরের মধ্যে এর নির্মাণকাজ শেষ হয়। এরপর ২০১০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তৎকালীন ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী এই শহীদ মিনারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

অন্যদিকে রোমে স্থায়ী শহীদ মিনারটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয় ২০১১ সালে এবং সে বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি তা উদ্বোধন করেন তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাহা। এর দুই দিন পর একুশে ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠানে ওই শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং আলোচনায় অংশ নেন ইতালি সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মিস স্টেফানিয়া গ্যাব্রিয়েলা অ্যানাস্তাসিয়া ক্র্যাক্সি।

ঢাকার জাতীয় শহীদ মিনারটির আদলে তৈরি হয় রোমের শহীদ মিনার। এর নকশায় মাঝের স্তম্ভটিতে রয়েছে বাংলায় ‘মা’ কথাটি খোদাই করা লেখা। এই নকশার আরেকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, শহীদ মিনারে বিশ্বের ৫০৭টি ভাষার নাম লেখা আছে।

তবে নির্মাণের পর থেকে শহীদ মিনার দুটি সঠিক পরিচর্যার অভাবে প্রায় ধ্বংশের মুখে রয়েছে। বর্তমানে বারি শহরের স্থায়ী শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের সম্মান জানানোর অবস্থা থাকলেও রোমের স্থায়ী শহীদ মিনারে প্রায় ৪ বছর ধরে শহীদদের সম্মান জানানো হচ্ছে না। অন্য একটি পার্কে অস্থায়ী শহীদ মিনারে মাতৃ ভাষা দিবস উদযাপন করে দূতবাস থেকে।

রোমের বাংলাদেশিদের অহংকার করা ভাষা আন্দোলনের নিদর্শন সম্মান জানানোর পরিবর্তে পরে আছে পরিত্যাক্ত অবস্থায়। এ অবস্থা থেকে বাংলাদেশ দূতাবাস কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার প্রতি প্রবাসীদের আহ্বান যতদ্রুত সম্ভব এই শহীদ মিনারকে রক্ষা করার। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত বিভিন্ন সময় বলেছেন আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি তবে পুনরায় জায়গা নির্ধারণ একটু সময়ের ব্যাপার। 
 

বিডি প্রতিদিন/১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর