পররাষ্ট্র সচিব মো: শহীদুল হক শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য ১৯ ফেব্রুয়ারি দি হেগের জাউডারপার্কে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। দূতাবাসের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে, হেগ মিউনিসিপ্যাল কর্তৃপক্ষ স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের অনুমোদন প্রদান করে।

দূতাবাসের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার ফলে হেগ পৌরসভার কর্তৃপক্ষ দি হেগের ঐতিহ্যবাহী জাউদারপার্কে একটি জমি বরাদ্দ প্রদান করেছে। বর্তমানে, শহীদ মিনার নির্মাণের নকশা প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে। কর্মদিবসে বৃষ্টিপাত ও প্রচণ্ড ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে নেদারল্যান্ড এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিগণ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। প্রবাসী বাংলাদেশিগণ ছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীগণ, দূতাবাস কর্মকর্তাগণ, মিউনিসিপ্যাল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী কর্মকর্তারা, স্থানীয় বাসিন্দাদের এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

বক্তব্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন, শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য জমি প্রদান করায় হেগ মিউনিসিপ্যাল ​​কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সকল মাতৃভাষা সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তার ভাষণে তিনি বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধ এবং বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন যে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের গৌরবময় ইতিহাস এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুপ্রতিষ্ঠিত।

রাষ্ট্রদূত শেখ মুহাম্মদ বেলাল তার বক্তব্যে শহীদ মিনার নির্মাণের পর তা রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনুরোধ করেন।

দি হেগের উপ-মেয়র রবিন বালদেবসিং তার বক্তব্যে বলেন, শহীদ মিনার তথা ভাষা স্মৃতিস্তম্ভটি বাংলা ভাষা আন্দোলনের উপর ভিত্তি করে নির্মিত হলেও এই স্মৃতিস্তম্ভটি বিশ্বের সকল ভাষার চিত্র তুলে ধরেছে। হেগ মিউনিসিপাল কর্তৃপক্ষ এই ঐতিহাসিক ঘটনার অংশ হতে পেরে আনন্দিত।

প্রতিকুল আবহাওয়া উপেক্ষা করে অমর ২১ ফেব্রুয়ারির জন্য ভালবাসা এবং শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য ১০০ জনেরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি এই অনুষ্ঠানে যোগদান করেছেন।  

এছাড়া, আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং অমর একুশে উদযাপনের জন্য দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে যেখানে আরো সাতটি দূতাবাসের শিল্পীগণ অংশগ্রহণ করবে।

বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন