১৯ মে, ২০১৮ ২১:১৯

ভিয়েনায় শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

ভিয়েনা (অষ্ট্রিয়া) থেকে:

ভিয়েনায় শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৩৮তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার প্যানত্রসিয়া হোটেলে ১৭ মে  বিকেলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি আকতার হোসেন, পরিচালনা করেন, সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন হোসেন। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল এমপি। বিশেষ  অতিথি ছিলেন, সর্বইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, অষ্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী, লেখক, সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলাম।
 
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অষ্ট্রিয়া ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার বায়েজিদ মীর, অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কবির, সহ-সভাপতি রুহি দাস সাহা, সিরাজ চৌধুরী, এমরান মজুমদার, অস্ট্রিয়া আওয়ামী যুবলীগ নেতা ইয়াসিম মিয়া বাবু প্রমুখ।

প্রধান অতিথি একেএম শাহজাহান কামাল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা স্বদেশে এসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ পুনপ্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, গণমানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার অর্জনসহ বাংলাদেশের রাজনীতিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটিয়েছেন।’ 

তিনি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। এই এগিয়ে চলা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে এম. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর মতো উদারপ্রাণ, মহান নেতাকে হারিয়ে দিশেহারা জাতি ১৯৮১ সালের ১৭ মে  এসে খুঁজে পেয়েছিল নতুন আশ্রয়। বাঙালির ইতিহাস এই দিন থেকে নতুন করে লেখা হয়েছিল। এই দিন থেকেই বাংলাদেশে নতুন করে গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার শুরু। সে অভিযাত্রার কাÐারি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।’

সভাপতির বক্তব্যে আকতার হোসেন বলেন, ‘১৯৮১ সালের ১৭ মে যদি শেখ হাসিনা দেশে না ফিরতেন তাহলে বাংলাদেশ এতদিনে পাকিস্তানের অঙ্গরাজ্যে পরিণত হতো।’ 

সাইফুল ইসলাম কবির বলেন, ‘খালেদা জিয়ারা শত চেষ্টা করেও দেশ এবং মানুষের কল্যণে জননেত্রী শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রাকে ঠেকাতে পারে নাই, পারবেও না।’

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে জননেত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাত করা হয়।  নৈশ ভোজের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

 

বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর‌ ‌ 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর