২১ আগস্ট, ২০১৮ ২২:০৯

ভিয়েনায় ঈদুল আজহা উদযাপিত

ভিয়েনা (অস্ট্রিয়া) প্রতিনিধি

ভিয়েনায় ঈদুল আজহা উদযাপিত
যথাযোগ্য মর্যাদায় অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উদযাপিত হয়েছে। অস্ট্রিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি মুসলমানরা বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছেন। প্রবাসী বাংলাদেশি মুসলিম সম্প্রদায় কর্তৃক পরিচালিত ৫টি মসজিদ রয়েছে অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায়। এই মসজিদগুলোতে প্রতিবারের মতো এবারও তিনটি করে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা, সাড়ে ৯টা ও ১১টায় পরপর অনুষ্ঠিত জামাতে ভিড় ছিল উপচেপড়া। এর মধ্যে বেশ কিছু মুসল্লি ছিলেন অন্যান্য মুসলিম কমিউনিটির।
 
ভিয়েনার কেন্দ্রস্থলে বাংলাদেশিদের অর্থে ক্রয় করা জমির উপর নির্মিত ‘বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার বাইতুল মোকাররম' এ স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ইমামতি করেন মাওলানা সাইদুর রহমান, দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা গোলামুর রহমান আল আজাহারী, তৃতীয় জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা হাফেজ আবু জাফর।
 
দ্বিতীয় জামাতে বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশন ভিয়েনার রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর, কাউন্সিলর ও চ্যান্সারি প্রধান রাহাত বিন জামান, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, অস্ট্রিয়া প্রবাসী লেখক, মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলাম, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কবির, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অস্ট্রিয়া ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা বায়েজিদ মীর, বিএনপি নেতা শান্ত খান রুবেল, বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার বাইতুল মোকাররম ভিয়েনার কর্মকর্তা আবিদ হোসেন খান, জাহাঙ্গীর আলম, আহমেদ ফিরোজ, বাউল শিল্পী আবুল কালাম, শফিকুল ইসলাম, শাহ কামাল, নয়ন হোসেন, মাহাবুব খান শামীম, ইমরুল কায়েস, অবদুর রব খানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। তিনটি জামাতে অংশগ্রহণকারী বিপুল সংখ্যক মুসল্লিকে মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়ন করে মসজিদ পরিচালনা কমিটি।
 
অস্ট্রিয়ায় সবগুলো ঈদের জামাতে মানব কল্যাণ ও বিশ্বময় শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। বাংলাদেশিদের মসজিদগুলোতে প্রতিটি জামাতে বাংলাদেশ ও দেশের মানুষের এবং মুসলিম উম্মাহর মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী ঈদের জামাতের পর একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন।
 
অন্যান্য বছরের মতো এবারও ভিয়েনায় বসবাসকারী বাংলাদেশিদের অনেকেই কোরবানি দিয়েছেন। ভিয়েনা শহরের মধ্যে পশু জবাই করা নিষিদ্ধ থাকায় শহরের বাইরে কসাইখানায় কোরবানি দিতে হয়। আর এইসব কসাইখানাগুলো ভিয়েনা থেকে বেশ দূরে। অনেকে ১০০ কিলোমিটার, কেউ ১৫০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে তাদের পছন্দের পশু কোরবানি করেছেন। কোরবানির ১/২ মাস আগে কসাইখানায় গিয়ে পশু নির্দিষ্ট করে বুকিং দিতে হয়। কোরবানির মাংস কেটে তা গুছিয়ে দেওয়ার জন্য ওই সময়টায় কসাইখানা কর্তৃপক্ষ মুসলমান কর্মচারি নিয়োগ দেন। যার কারণে ইসলামিক নিয়ম মতো কোরবানি করতে কোন রকম সমস্যা হয় না। উল্লেখ্য, অষ্ট্রিয়া প্রবাসী সিংহভাগ বাংলাদেশি ভিয়েনায় বাস করেন।
 
রাজধানীর বাইরে অন্যান্য শহরেও ব্যাপক উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঈদ উদযাপন করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
 
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা  

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর