১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ২০:৫৯

‘স্বাগত শেখ হাসিনা’ স্লোগানে উত্তাল নিউইয়র্ক

এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক থেকে :

‘স্বাগত শেখ হাসিনা’ স্লোগানে উত্তাল নিউইয়র্ক

শেখ হাসিনার জাতিসংঘ সফরের সমর্থনে জনমত সৃষ্টির অভিপ্রায়ে জ্যাকসন হাইটসে খাবার বাড়ি প্রাঙ্গনে নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের এক র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
১৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত এ র‌্যালিতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী, সহ-সভাপতি আবুল হোসেন এবং মাসুদ হুসেন সিরাজি, যুগ্ম সম্পাদক নূরল আমিন বাবু, সুব্রত চৌধুরী, যুবলীগ নেতা জামাল হুসেন এবং ইফজাল চৌধুরী প্রমুখ।
বিএনপি-জামাতের হুংকার প্রসঙ্গে জাকারিয়া চৌধুরী বলেন, প্রচলিত আইনে সবকিছু ভন্ডুল করে দেয়া হবে যদি অগণতান্ত্রিক-অসভ্য আচরণের ঔদ্ধত্ব দেখানো হয়। জননেত্রী শেখ হাসিনার সফরকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালালে সেটিও রুখে দেয়া হবে।’
১৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবারও মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী এবং যুগ্ম সম্পাদক নূরল আমিন বাবুর নেতৃত্বে জনসংযোগ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিদিন, প্রতিক্ষণই নেতৃবৃন্দ দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সফরের সমর্থনে জনসংযোগে রয়েছেন বলে জানালেন আবুল হোসেন। এ সময়ে সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নেত্রীকে এয়ারপোর্টে অভ্যর্থনার বিকল্প নেই বলেও উল্লেখ করেন যুবলীগের নেতারা।
২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে লন্ডন থেকে নিউয়ার্ক লিবার্টি এয়ারপোর্টে অবতরণ করবেন শেখ হাসিনা। জেএফকে কিংবা লাগোয়ার্ডিয়া এয়ারপোর্টের মত নিউজার্সির এই লিবার্টি এয়ারপোর্টে লোক-সমাগম ঘটিয়ে হৈ চৈ কিংবা স্লােগান প্রদানের সুযোগ নেই। এছাড়া, মাঝেমধ্যেই অবৈধ অভিবাসী বিরোধী অভিযান পরিচালিত হওয়ায় ক্রিমিনাল এবং কাগজপত্রহীনদের সেখানে উপস্থিত হওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের পক্ষ থেকেই আহ্বান রাখা হয়েছে ফটো আইডি সাথে রাখার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তাজনিত কারণে শেষ মুহূর্তে এয়ারপোর্ট পরিবর্তনের ঘটনায় উভয়পক্ষই হতাশ।
স্মরণ করা যেতে পারে, পঞ্চদশতম বারের মত এবার শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেবেন। বাংলায় সর্বপ্রথম এই বিশ্ব ফোরামে ভাষণ দিয়েছেন ১৯৭৪ সালে জাতিরজনক শেখ মুজিবর রহমান। জাতিসংঘের ৭৩তম সাধারণ অধিবেশনে শীর্ষ নেতাদের মধ্যে শেখ হাসিনাই হবেন জ্যেষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী, যিনি সবচেয়ে বেশী বার ভাষণ দিয়েছেন। এজন্যে জাতিসংঘের বিভিন্ন ফোরামেও তার গুরুত্ব অপরিসীম বলে কূটনীতিকরা মনে করছেন।
নিউইয়র্কে শেখ হাসিনাকে স্বাগত এবং বিক্ষোভ দেখাতে এবার উভয়পক্ষই জোরালো অবস্থানে রয়েছে। বিএনপির কোন কমিটি না থাকলেও খন্ডে খন্ডে বিভক্ত হয়ে তারা ‘যেখানে হাসিনা-সেখানেই প্রতিরোধ’ কর্মসূচির সমর্থনে প্রস্তুতি অব্যাহত রেখেছেন। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের পক্ষ থেকেও সর্বত্র র‌্যালি, টাউনহল মিটিং হচ্ছে নির্বাচনের আমেজে শেখ হাসিনাকে সর্বকালের সেরা একটি সংবর্ধনা প্রদানের জন্যে।
উল্লেখ্য, ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায়ই ম্যানহাটানে হিল্টন হোটেলের বলরুমে ‘রাখতে হলে দেশের মান-শেখ হাসিনাই মোদের প্রাণ’ স্লোগানে প্রবাসী নাগরিক সংবর্ধনা সমাবেশে ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ ও সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরীর সার্বিক তত্বাবধানে এই সংবর্ধনা সমাবেশে অংশগ্রহণের জন্যে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকেও নেতা-কর্মীরা আসবেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর