২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১৬:২৭

শরীয়তপুরে নদীভাঙন রোধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা সিডনি প্রবাসীদের

আব্দুল মতিন, সিডনি

শরীয়তপুরে নদীভাঙন রোধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা সিডনি প্রবাসীদের

শরীয়তপুরের নড়িয়া ও জাজিরাকে পদ্মার ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাসরত শরীয়তপুরবাসী। এ লক্ষ্যে গত ২৩ আগস্ট (রবিবার) বাংলাদেশ হাই কমিশনের সিডনিস্থ অস্থায়ী কন্স্যুলার ক্যাম্পে প্রধানমন্ত্রী সমীপে স্মারকলিপি প্রদান করেছে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী শরীয়তপুরবাসী জেলা ফোরাম।

শরীয়তপুরবাসীর পক্ষ থেকে কৃষিবিদ ড. রফিক উদ্দিন, ব্যবসায়ী মোহাম্মাদ আলী শিকদার, সেলিম শাহনুরী, আইনজীবী নিম তালুকদারসহ অন্যরা সিডনির ক্যাম্পসীতে অস্থায়ী কন্স্যুলার ক্যাম্পে হাই কমিশনের প্রধান সচিব নাজমা আক্তারের হাতে স্মারকলিপিটি তুলে দেন।  

স্মারকলিপিতে বলা হয়, পদ্মা নদীর ভাঙনে নড়িয়া উপজেলার চরআত্রা এবং নওপাড়া ইউনিয়ন কয়েক বছর পূর্বেই পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। পদ্মা নদীর এই ভাঙন প্রায় দুই যুগ আগে শুরু হয়ে তা বর্তমানে চরম আকার ধারণ করে শত শত বছরের প্রাচীন জনপদ নড়িয়া এবং জাজিরার গ্রামের পর গ্রাম ক্রমান্বয়ে গ্রাস করে নিচ্ছে।  

স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, নদীর ভাঙন একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলে প্রাথমিকভাবে বিবেচিত হলেও সাইক্লোন বা টর্নেডোর ন্যায় অপ্রতিরোধ্য নয়। সাইক্লোন বা টর্নেডো হঠাৎ আঘাত করে চলে যায়। কিন্তু নদী ভাঙনে আস্তে আস্তে শুরু হয়ে ক্রমাগত চলতে থাকে। নদী ভাঙন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলেও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বের অনেক দেশ নদী ভাঙন প্রতিরোধ করেছে। উদাহরণ হিসেবে চীনের কথা বলা হয়েছে। এক সময়ের চীনের দুঃখ 'হুয়াংহু নদী' এখন চীনের সম্পদ হিসেবে বিবেচিত।

স্মারকলিপিতে দুঃখের সাথে বলা হয়, সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সময় মত নদী শাসনের কাজ সম্পন্ন না করাসহ এই এলাকার রাজনীতিবিদদের দীর্ঘদিনের অবহেলা এবং উদাসীনতার কারণে পদ্মা নদীর ভাঙনে আমাদের কষ্টার্জিত সম্পদ, পূর্ব পুরুষের ভিটেমাটি, আবাদী জমিসহ সবকিছু নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে উপজেলা দুটি আজ অস্তিত্বহীন হওয়ার পথে। এই নদী ভাঙনে দুটি উপজেলার প্রায় দুই হাজার পরিবারবসহ ভিটেহীন হয়ে পরেছে। আবাদী জমিসহ হাটবাজার নদীতে ভেঙে যাওয়ায় গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিরুপ প্রভাব পরায় অনেক পরিবার কর্মহীন হয়ে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছে।

এই অসহায় পরিবারগুলোর সার্বিক পুনর্বাসনকল্পে সরকারি খাস জমিতে বসতভিটা নির্মাণ করে নতুনভাবে জীবন শুরু করার জন্য সহজ শর্তে ও নামমাত্র সুদে প্রতিটি পরিবারকে দীর্ঘ মেয়াদী ১০ লাশ টাকা ঋণ প্রদান করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়। পাশাপাশি অবিলম্বে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলাকে পদ্মার করাল গ্রাস হতে রক্ষাকল্পে পদ্মার দক্ষিণ পাড়ে ১২ মাইল দীর্ঘ বেড়ীবাধ নির্মাণের কাজ জরুরি ভিত্তিতে শুরু করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের জোর দাবি জানানো হয়।

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর